শনিবার সকাল থেকে দিঘা সৈকতে শুরু হয় “সেবা পর্ব ২০২৫ বিচ ক্লিনিং ইভেন্ট”। সমুদ্রসৈকতের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পর্যন্ত চলে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা করার অভিযান। হাতে গ্লাভস আর বড় বড় ব্যাগ। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তটরেখা থেকে অদৃশ্য হয়ে যায় প্লাস্টিক বোতল, পলিথিন, খাবারের প্যাকেট ও নানা বর্জ্য। দিঘার বালি একেবারে ঝকঝকে চেহারায় দেখা দেয়।দিঘাকে নতুন ভাবে সাজিয়ে তুলতে এই পরিষ্কার কর্মসূচিতে অংশ নেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলা শাসক পুর্ণেন্দু মাঝি-সহ একাধিক আধিকারিক। সৈকতের এই পরিচ্ছন্নতার ব্যস্ততা যেন এক উৎসবের রূপ নেয়।
advertisement
আরও পড়ুন : অতীতের জমিদার বাড়িতে ২০০ বছরেরও প্রাচীন দুর্গাপুজো আজ সকল গ্রামবাসীর প্রাণের উৎসব
আধিকারিক ও সাফাই কর্মীদের সঙ্গে যোগ দেন স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকরাও। সূর্যালোকে ঝকঝকে হয়ে ওঠে সমুদ্রের ধারে ছড়িয়ে থাকা বালি। আন্তর্জাতিক উপকূলীয় পরিষ্কার দিবসে দিঘার চেহারায় যেন নতুন মাত্রা যোগ হল। সৈকতের সৌন্দর্য আগের তুলনায় আরও বেশি আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। আবর্জনামুক্ত সৈকতে হাঁটতে হাঁটতে অনেকে মনে করছেন, “দিঘা ভ্রমণ এবার হবে আরও আনন্দদায়ক, আরও শান্তিময়।”
দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে হওয়া এই কর্মসূচি শুধুমাত্র একদিনের পরিচ্ছন্নতা অভিযান নয়, বরং আগামী দিনের এক বড় বার্তাও বটে। সমুদ্রতট পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব যেমন প্রশাসনের, তেমনই প্রত্যেক পর্যটকের।
