এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিক, মৎস্য মন্ত্রী বিপ্লব রায় চৌধুরী-সহ বিভিন্ন আধিকারিকেরা। যত্রতত্র প্লাস্টিক ও নোংরা আবর্জনা ফেললে প্রকৃতির উপর কী প্রভাব পড়ে, তা তথ্য চিত্রের মধ্য দিয়ে তুলে ধরা হয়। দিঘাকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে একাধিক পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়। সেগুলি বাস্তাব রূপায়নের কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। সুমধুর গানের সুরে এবার পরিচ্ছন্নতার বার্তা দেওয়া হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ সকলে রোজ ব্যবহার করেন! কিন্তু বাড়ির ‘এই’ ৬ জিনিস ক্যানসারের ‘কারণ’, বাড়ি থেকে অবশ্যই সরিয়ে ফেলুন
গানে গানে অলিগলি পরিচ্ছন্ন রাখার অঙ্গীকার দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের।ইতিমধ্যে গানে গানে এই আবর্জনা সংগ্রহের বিষয়ে ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ্য করা গিয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যেও। সৈকত শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখা এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রতিনিয়ত দেখা যায় হোটেলগুলির একাংশ যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলে রাখে। ফলে অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় সৈকতে। তাই হোটেল কর্তৃপক্ষ এবং সাধারন মানুষ উভয়কে যাতে সচেতন করা ছাড়াও জরিমানার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ গাড়িতে AC চালালে কতটা পেট্রল-ডিজেল পোড়ে! ‘এই’ উপায়ে চালালে দুর্দান্ত মাইলেজ! তেলের খরচ কমে অর্ধেক
এ বিষয়ে, জেলাশাসক জানান, ‘দিঘা ক্লিন ও গ্রিন করা আমাদের সকলের কর্তব্য। তাই আমরা সকলের চেস্টায় দিঘাকে ক্লিন ও গ্রিন গড়ার জন্য একাধিক পরিকল্পার বাস্তবায়ন ঘটালাম। প্লাস্টিক করও বর্জন, সুস্বাস্থ্য হোক অর্জন- এই শ্লোগানের মাধ্যমেই আমরা দিঘাকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার অঙ্গীকারবদ্ধ হব। এতদিন জরিমানা করার কথা বললেও জরিমানা নেওয়া হত না। এবার জরিমানাও করা হবে।’
দিঘাকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রেখে সবুজ দিঘা গড়ার অঙ্গীকার প্রশাসনের। তৎপর জেলা প্রশাসন। দিঘাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য ১২ টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। এছাড়াও সৈকত চত্বরে একাধিক ডিজিটাল বোর্ড লাগান হয়েছে, যেখানে ভিডিওর মাধ্যমে পরিবেশ দূষণের বিষয় নিয়ে সচেতন করা হচ্ছে সাধারণ মানুষ জনকে। এছাড়াও নোংরা, আবর্জনা যত্রতত্র ফেললে এবং প্লাস্টিক বিক্রি করলে জরিমানার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। ফলে এবার দিঘায় এসে যত্রতত্র নোংরা আবর্জনা ফেলানোর আগে সাবধান হয়ে যান।
সৈকত শী





