এত বাধা বিপত্তির পরেও চিকিৎসা পরিষেবা পেতে অসুবিধায় পড়তে হয়নি বন্যা কবলিত এলাকার মানুষজনকে। বন্যা কবলিত এলাকায় কোথাও ভাঙা সাঁকো দিয়ে পারাপার করতে হচ্ছে, কোথাও আবার ডিঙ্গি নৌকায় করে চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দিচ্ছেন আশা কর্মীরা। শত কষ্ট-বাধা পেরিয়েও গর্ভবতী মহিলা থেকে অসুস্থদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছেন দেবদূতের মত। অসুস্থদের বা গর্ভবতী মহিলা কিংবা শিশুদের অবস্থার অবনতির খবর কানে এলেই সঙ্গে সঙ্গে পৌঁছে যাচ্ছে স্পিডবোট। আর তাতে করেই আনা হচ্ছে বন্যা কবলিত এলাকার মানুষজনকে।
advertisement
পশ্চিম মেদিনীপুরের স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্য শঙ্কর সারেঙ্গী বলেন, “আমরা সবসময়ই সজাগ রয়েছি। একাধিক জায়গায় চলছে মেডিকেল ক্যাম্প। এছাড়াও আশা কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রত্যেকের খোঁজখবর নিচ্ছেন। যাদেরকে হাসপাতালে আনার প্রয়োজন, তাদেরকে স্পিডবোট অথবা ডিঙি নৌকার মাধ্যমে আনা হচ্ছে।” তাই স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে কোনও রকম অসুবিধা হচ্ছে না বন্যা কবলিত এলাকায়।
ঘাটালে রয়েছে একাধিক সরকারি সুবিধাপ্রাপ্ত হাসপাতাল। রয়েছে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতাল, ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, এছাড়াও রয়েছে একাধিক গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্র। সেখানেই পৌঁছে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে জলকে উপেক্ষা করে ভাঙা সাঁকো পেরিয়েও আশা কর্মীদের প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থা পৌঁছে দেওয়ার এই যে মানবিক প্রয়াস, তাদের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষজন।
মিজানুর রহমান