শীতকালেই সাধারণত পাওয়া যায় এই খেজুরের গুড়। গ্রাম বাংলার দিকে খেজুর গাছে শিউলিরা সকাল বেলা হাঁড়ি বেঁধে দিয়ে আসে। সেই হাঁড়িতেই ফোঁটা ফোঁটা করে খেজুর গাছের রস পরে। এবং সেই রস জাল দিয়েই তৈরি করা হয় সুস্বাদু খেজুরের গুড়। খেজুরের গুড় অথবা নলেন গুড় থেকে একাধিক সুস্বাদু মিষ্টি ও পিঠেপুলি তৈরি করা হয়। এমনলকি, জয়নগরের সুস্বাদু মোয়া তৈরি করার জন্য এই উৎকৃষ্ট মানের নলেন গুড় ব্যবহার করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: দিঘা-মন্দারমনি সৈকত ঘুরুন মাত্র ১০০ টাকায়! পর্যটকদের জন্য বিরাট সুখবর দিল রাজ্য
কিন্তু খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে এখনও সেই ঐতিহ্যবাহী মাটির কলসি বা হাঁড়ি ব্যবহার করে আসছে শিউলিরা। আধুনিক যুগে প্লাস্টিকের বিভিন্ন উপকরণের চাহিদা বৃদ্ধি পেলেও এখনও পর্যন্ত মাটির কলসির উপরেই ভরসা শিউলিদের। আর শীত পড়লেই মাটির কলসি বা হাড়ির চাহিদা পূরণ করার জন্য কুমোর পাড়াতে তোড়জোড় শুরু হয়ে যায়। এই কটা মাস জয়নগর এলাকার মাটির কারিগরদের গুড়ের কলসি তৈরি করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
যদিও এ প্রসঙ্গে এক মোয়া ব্যবসায়ীর কথাই বাজারে মাটির কলসির বিকল্প হিসেবে প্লাস্টিকের কন্টেনার ব্যবহার করা হয়। তবে প্লাস্টিক কন্টেনারের নলেন গুড় বেশি দিন রাখা যায় না অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই সেটা নষ্ট হয়ে যায়। আর যদি মাটির কলসিতে গুড় রাখা হয় তাহলে তা অনেকদিন দীর্ঘস্থায়ী হয়। আর তাই নলেন গুড়ের আসল স্বাদ পেতে মাটির কলসির ব্যবহার অনস্বীকার্য।
সুমন সাহা