পরিবার সূত্রে খবর, শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটার সময় বাড়ি থেকে মামার বাড়ি যাওয়ার সময় তাকে তুলে নিয়ে যায় অভিযুক্ত ওই যুবক। সেই সময় এলাকায় ছিল বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। বাড়ির একটু দূর থেকেই তাকে মুখ চাপা দিয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে খুন করে। পরবর্তীতে ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদে অসঙ্গতি ধরা পড়ে।
advertisement
এরপর এলাকার মানুষের সন্দেহ হওয়ায় তাহেরপুর থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে অভিযুক্ত যুবক প্রণজিৎ মণ্ডল ওরফে শুভকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে নিয়ে যায়। তার কিছুক্ষণ পর ওই নাবালিকা ছাত্রীর খোঁজ শুরু করে পরিবার ও এলাকার মানুষ। রাত আনুমানিক ১২ টার দিকে বাগানের মধ্যে একটি পরিতক্ত গরুর গোশালা থেকে উদ্ধার হয় ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত নাবালিকা দশম শ্রেণীর ছাত্রীর মৃতদেহ।
এরপর পুলিশ এসে সেই মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পরিবারের ও প্রতিবেশীদের অভিযোগ, যখন এই প্রণজিৎকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল তখন তার দুই হাত রক্তাক্ত ছিল। তাই এলাকার মানুষ তার উপরেই সন্দেহ করছিল। পরিবারের আরও অভিযোগ, এই প্রনজিৎ মণ্ডল মাঝেমধ্যেই উত্তক্ত করত ওই দশম শ্রেণীর ছাত্রীকে।
এছাড়াও স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য জানান ছমাস আগে তিনি জানতে পারেন এই অভিযুক্ত যুবক ওই দশম শ্রেণীর ছাত্রীকে ভালবাসত। তবে ছাত্রীর পক্ষ থেকে কোনও সাড়া না পেয়েই এই খুন বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। ঘটনা সামনে আসতেই কান্নায় ভেঙে পড়েছে দশম শ্রেণীর ছাত্রীর পরিবার। ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে তাহেরপুর থানার পুলিশ। এদিন ওই ছাত্রীর মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হবে রানাঘাট পুলিশ মর্গে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তাহেরপুর থানার পুলিশ।