বুধবার ফের অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠদের বাড়ি, অফিস-সহ একাধিক জায়গায় হানা দেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। বুধবার সকাল থেকে সিবিআই আধিকারিকদের চারটি দলকে অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে হানা দিতে দেখা যায়। সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে তল্লাশি। বেশ কিছু ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং নথির হদিস পাওয়া গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে সিবিআই সূত্রে।
আরও পড়ুন: হাতে হাত, নতুন সংকল্প শোভন-বৈশাখীর! যুগলের গণেশ পুজোর ছবি এখন চর্চায়
advertisement
বুধবার সাত সকালে সিবিআই আধিকারিকরা একসঙ্গে চার থেকে পাঁচ জায়গায় হানা দেয়। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে সিবিআই আধিকারিকরা বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে পৌঁছন অনুব্রত মণ্ডলের চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট মণীশ কোঠারি, অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর দেবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি, দেবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ সুদীপ রায়ের বাড়ি এবং অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বোলপুরের সেনপতি এলাকার বাসিন্দা সুজিত দের বাড়ি। এই সকল জায়গায় পৌঁছনোর পর দীর্ঘক্ষণ ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই আধিকারিকরা। দীর্ঘক্ষণ ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর তারা বেরিয়ে এলে একটি দল হানা দেয় মনীশ কোঠারির অফিসে।
বোলপুরের কাছারি পট্টিতে থাকা মণীশ কোঠারির অফিসে হানা দিয়ে সেখানেও দীর্ঘক্ষণ ধরে তল্লাশি চালান সিবিআই আধিকারিকরা বলে জানা যাচ্ছে। এখান থেকেই সিবিআই আধিকারিকরা একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং নথির হদিস পেয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
প্রসঙ্গত, ১১ অগাস্ট গরু পাচার কাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে অনুব্রত মণ্ডলকে নিজের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এরপর তিনি ১৪ দিন সিবিআই হেফাজতে থাকার পর এখন রয়েছেন আসানসোলের বিশেষ সংশোধনাগারে। তবে এই সময়ের মধ্যে বোলপুরের বিভিন্ন জায়গায় চিরুনি তল্লাশি করতে দেখা যায় সিবিআই আধিকারিকদের। ভোলে বোম রাইস মিল থেকে শুরু করে শিব শম্ভু রাইস মিল কোনও জায়গা বাদ রাখেননি সিবিআই আধিকারিকরা। তাদের এই সকল তল্লাশীর পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন জায়গা থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করে নানা তথ্য।
Madhab Das