TRENDING:

বীরভূম জেলার বহু চর্চিত গ্রাম আজ উৎসবের মেজাজে, পুজোর ছুটিতে ঘুরে আসুন প্রকৃতির কোলে পুজোর আমেজ পেতে

Last Updated:

Birbhum News: একসময়ের অশান্ত নানুর আজ উৎসবের মেজাজে ভাসছে, বারুদের গন্ধ দূর করে আজ নানুর জুড়ে শুধু শিউলি ফুলের গন্ধ

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
বীরভূম: বীরভূমের সব থেকে চর্চিত জায়গা ছিল এক সময় নানুর। আর সেই নানুরে দুর্গোৎসবে উচ্ছ্বাসের রঙ। সম্প্রীতি আর ঐতিহ্যের অনন্য নজির শুধুই উৎসবের উচ্ছ্বাস। আজ থেকে বছর ১০ পিছিয়ে গেলে সেইসময় নানুরে ভোরের ঘুম ভাঙত বোমার শব্দে, রাজনৈতিক অশান্তির আঁচে বারবার কেঁপে উঠত বিভিন্ন গ্রাম। সেই সমস্ত দিন এখন অতীত।
মা দুর্গা
মা দুর্গা
advertisement

সমগ্র নানুর ব্লক জুড়ে আজ উৎসবের আবহ। কোথাও মণ্ডপে শেষ মুহূর্তের সাজসজ্জা চলছে। কোথাও উমার কারুকার্য পৌঁছেছে শেষ পর্যায়ে। শারদোৎসবকে ঘিরে প্রাণের স্পন্দনে মুখরিত বীরভূমের নানুর।

আরও পড়ুন: বস্তা বস্তা ‘ডাই’ ছাড়ুন…! এই প্রাকৃতিক ‘জিনিস’ দিয়ে বানিয়ে ফেলুন হেয়ার কালার! মিনিটে কুচকুচে কালো হবে সাদা চুল, শিখে নিন ‘টোটকা’!

advertisement

ঐতিহ্য ও ইতিহাসের মেলবন্ধন নানুরের দুর্গাপুজো। একদিকে চণ্ডীদাসের স্মৃতিবিজড়িত এই জনপদ, অন্যদিকে জেলার দক্ষিণ-পূর্বে অজয় ও ময়ূরাক্ষী নদীর মিলিত অববাহিকার বিস্তীর্ণ কৃষিজমির ভাণ্ডার। এই দুই বৈশিষ্ট্য নানুরকে আলাদা মর্যাদা দিয়েছে। তবে স্থানীয়দের আক্ষেপ, বৈষ্ণব পদাবলীর শ্রেষ্ঠ কবি চন্ডীদাসের জন্মস্থান হিসেবে খ্যাতি পেলেও পর্যটনক্ষেত্রে আজও অবহেলিত নানুর। নানুরে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে এখনও টিকে আছে শতাব্দী প্রাচীন দুর্গোৎসবের রীতি। এলাকার অনেক গ্রামে রয়েছে ৪০০ বছরেরও পুরনো জমিদারি পুজো।

advertisement

আরও পড়ুন: বাটারের মতো তুলতুল করবে মুখ…! রাতে ঘুমোনোর আগে মুখে মাখুন এই দুই ‘জিনিস’, সকালেই দেখুন তফাৎ, ঠিকরে পড়বে রূপ!

যদিও আজ রাজা-জমিদার নেই, জমিদারি রাজত্ব নেই তবু সেই ঐতিহ্য ধরে রাখা হয়েছে পরম্পরায়। অন্যদিকে শতাব্দী প্রাচীন ভট্টাচার্য পরিবারের দুর্গোৎসব আজও অনুসরণ করে বিশেষ রীতি। অষ্টমীর সময় সেখানে ব্যবহার করা হয় জলঘড়ি বা ক্লেপসিড্রা। যেখানে আধুনিক ক্যালেন্ডার বা পঞ্জিকা নয়, সময় মাপা হয় ঐতিহ্যবাহী প্রক্রিয়ায়।

advertisement

আরও পড়ুন: চুম্বকের মতো টেনে আনে ‘সাপ’…! এই চার ‘গন্ধ’ বিষধরের জন্য ‘অমৃত’ সমান, এখনই দূর করুন!

নানুর ব্লকে বর্তমানে আনুমানিক প্রায় ২৫০টিরও বেশি দুর্গাপুজো হয়। এর মধ্যে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত পুজোর সংখ্যা ১৯৯। গ্রামীণ অর্থনীতি নির্ভর অঞ্চলেও থিম পুজোর প্রবল স্রোত এবছর। কীর্ণাহারের মরশুমি ক্লাব মাতৃশক্তির আরাধনাকে কেন্দ্র করে লোকজ শিল্প ভাবনায় প্যান্ডেল গড়েছে। চাটাই, কুলো, তালপাতার মতো সহজলভ্য গ্রামীণ উপাদান দিয়ে মণ্ডপসজ্জা করছেন শিল্পীরা।

advertisement

ক্লাবের সম্পাদক সৌমেন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “মূলত হারিয়ে যাওয়া গ্রামীণ লোকজ ভাবনাকে ফুটিয়ে তুলতেই বিশেষ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তবে উদ্বেগের কারণ বৃষ্টি।” কীর্ণাহার ইউথ ক্লাব তাদের ৩৯তম বর্ষে সাজিয়েছে ‘পটের সাজ’-এর থিম। নানুর চণ্ডীদাস স্টার ক্লাব প্রাধান্য দিয়েছে মূর্তির শৈল্পিকতায়। শ্রীপল্লী দুর্গা উৎসব সমিতি এবার পরিবেশ সুরক্ষা বার্তা দিতে মণ্ডপকে সাজাচ্ছে সবুজ ভাবনায়। সব মিলিয়ে উৎসবের মেজাজে বীরভূম।

সৌভিক রায়

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
বীরভূম জেলার বহু চর্চিত গ্রাম আজ উৎসবের মেজাজে, পুজোর ছুটিতে ঘুরে আসুন প্রকৃতির কোলে পুজোর আমেজ পেতে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল