এই ঘটনার পর নমিতার স্বামী নন্দু রায় ইংলিশ বাজার থানায় একটি নিখোঁজ ডায়রি করেছেন। তাঁর অভিযোগ, “গত ১১ সেপ্টেম্বর সকালে আমি ডিউটিতে বেরোই। বেরনোর কিছুক্ষণের মধ্যেই ১০.২০ মিনিটে স্ত্রী বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। বাড়িতে ছিলেন আমার শাশুড়ি, যিনি পা ভেঙে শয্যাশায়ী। মা-কে একা ফেলে নমিতা নগদ টাকা, গয়না, এমনকি শাশুড়ির এটিএম কার্ডও নিয়ে গিয়েছেন। আমার মেয়ের কাছে শুধু বলেছিল, তাড়াতাড়ি চলে আসব।’
advertisement
নন্দু রায়ের আরও অভিযোগ, “আমার অনুপস্থিতিতে ঘর লণ্ডভণ্ড অবস্থায় পাই। লকার ভাঙা, টাকা ও সোনা উধাও। বাড়িতে থাকা আমার ৯ বছরের মেয়েকে খিদের জ্বালায় কাঁদতে কাঁদতে পেয়েছি। এটা শুধুমাত্র বাড়ি ছেড়ে যাওয়া নয়, বড়সড় ষড়যন্ত্র।”
সম্প্রতি যে নারীকে বিয়ে করেছেন বলে খবর, সেই সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়ের দিকেও সন্দেহের তীর নন্দু রায়ের। তাঁর আশঙ্কা, নমিতা হয়ত আবেগের বশে ভুল পথে পা বাড়িয়েছেন, অথবা এই ঘটনার নেপথ্যে অন্য কোনও অসৎ উদ্দেশ্য লুকিয়ে আছে।
পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মালদহের ইংলিশ বাজার থানার পুলিশ। ঠিক কী কারণে নমিতা দাস রায় স্বামী ও পরিবারকে না জানিয়ে এই পদক্ষেপ নিলেন, তা জানতে ইতিমধ্যেই তৎপর প্রশাসন। এখন দেখার, এই চাঞ্চল্যকর ঘটনায় পরবর্তী মোড় কোন দিকে ঘোরে।






