TRENDING:

Kali Puja 2025: 'কুটির শিল্পে মায়ের ভুবন'! কালীপুজোয় অভিনব বার্তা নিয়ে হাজির বীরভূমের 'এই' পুজো, না দেখলে মিস

Last Updated:

ডিজিটাল যুগে হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী শিল্পকেই ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হয়েছে অগ্রদূত সংঘ। এ বছরের পুজো মণ্ডপে ফুটে উঠছে বাংলার গ্রামীণ কুটির শিল্পের অনন্য মেলবন্ধন।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
দুবরাজপুর, বীরভূম, সুদীপ্ত গড়াই: দুবরাজপুর শহরের কালীপুজো মানেই এক অন্যরকম আমেজ। এ বছরও তার ব্যতিক্রম নয়। দুবরাজপুর পৌর এলাকার অন্যতম ঐতিহ্যবাহী ক্লাব অগ্রদূত সংঘ পদার্পণ করল তাদের ৬৩ তম বর্ষে। আর সেই বর্ষপূর্তি উপলক্ষে পুজোর থিমে এসেছে এক অভিনব ভাবনা ‘কুটির শিল্পে মায়ের ভুবন, সেই মায়ের ভুবনে মায়ের আরাধনা।’
advertisement

ডিজিটাল যুগে হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী শিল্পকেই ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হয়েছে অগ্রদূত সংঘ। এ বছরের পুজো মণ্ডপে ফুটে উঠছে বাংলার গ্রামীণ কুটির শিল্পের অনন্য মেলবন্ধন। তালপাতার হাতপাখা, বাঁশের কুলো, ঝুড়ি, খরের দড়ি, মাদুর, মাটির হাঁড়ি এমনকি গামছা এই দেশীয় উপকরণ দিয়েই গড়ে উঠছে সম্পূর্ণ মণ্ডপ ও সজ্জা। উদ্যোক্তাদের মতে, ‘বেঁচে থাকুক শিল্প, বেঁচে থাক শিল্পীরাও।’ কোনও নিষিদ্ধ উপাদান যেমন প্লাস্টিক বা থার্মোকল এবারের সজ্জায় ব্যবহার করা হচ্ছে না। থিমের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মায়ের প্রতিমাতেও থাকছে অভিনবত্ব। প্রতি বছরের মতো এবারও প্রতিমা আসছে কলকাতার ঐতিহ্যবাহী কুমোরটুলি থেকে।

advertisement

আরও পড়ুন: ‘জনবিস্ফোরণ’ ঠেকাতেই হবে! এগিয়ে এলেন ২০০ জন মহিলা! যা হল বীরভূমে

বীরভূমের ওই অগ্রদূত সংঘের সূচনা ১৯৬৩ সালে। ক্লাবের সম্পাদক দেবাশীষ দাস বসু জানান, “আমাদের ক্লাবের কালীপুজো শ্যামাকালী নামে পরিচিত। ১৯৬৩ সাল থেকে নিয়ম মেনে প্রতি বছর কুমোরটুলি থেকে প্রতিমা আনা হয়। সেই প্রথা আজও অটুট।” তিনি আরও বলেন, “এ বছর আমাদের পুজোর বাজেট ১০ লক্ষ টাকা। পুজোর চার-পাঁচ দিন ধরে প্রতিদিনই থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অগ্রদূত মানে সবসময় নতুন ভাবনা ও শিল্পকলায় অভিনব ছোঁয়া এই বিশ্বাসেই মানুষ আমাদের পুজোর দিকে তাকিয়ে থাকে।”

advertisement

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

অগ্রদূত সংঘ শুধু একটি পাড়ার ক্লাব নয়, বরং এক পারিবারিক পরিমণ্ডল। এখানকার পাড়ার মহিলারা পুজোর নানা কাজে সক্রিয় ভূমিকা নেন। দেবাশীষবাবুর কথায়, “আমাদের পাড়ার মা, কাকিমা, বোনেরা একসঙ্গে পুজোর যাবতীয় দ্রব্যসামগ্রী জোগাড় থেকে আলপনা দেওয়া পর্যন্ত সমস্ত কিছু করেন। আমরা সবাই মিলে এই পুজোটা করি এটাই আমাদের গর্ব।”

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
মাজী পরিবারের কুলো মা ডাকিনী মনসার পুজো ঘিরে গ্রামে উৎসবের আমেজ
আরও দেখুন

অগ্রদূত সংঘের মণ্ডপটি অবস্থিত দুবরাজপুর থানা মোড় থেকে খয়রাশোল রোডে, ঐতিহ্যবাহী শ্মশান কালীমন্দিরের ঠিক পাশেই। পুজো কমিটির পক্ষ থেকে দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য পার্কিংয়ের বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। দুবরাজপুর রেলস্টেশন বা আশ্রম মোড় থেকে অটো বা টোটোতে সহজেই পৌঁছনো যায়, জনপ্রতি ভাড়া প্রায় ২০ টাকা, আর থানা মোড় থেকে ক্লাব পর্যন্ত ভাড়া ১০ টাকা।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Kali Puja 2025: 'কুটির শিল্পে মায়ের ভুবন'! কালীপুজোয় অভিনব বার্তা নিয়ে হাজির বীরভূমের 'এই' পুজো, না দেখলে মিস
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল