যদিও বারুইপুর মেইন ডাকঘরের পোস্টমাস্টার এ ব্যাপারে কিছু বলতে চাননি। নতুন আধার কার্ড তৈরি থেকে আধার কার্ড আপডেট- কোনও কাজই হচ্ছে না বারুইপুরের মেইন ও মদারাট ডাকঘরে। বারুইপুর মেন ডাকঘরে ১৫ দিন আগে নোটিস দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, মেশিন বিকল। ফলে দূর-দূরান্তের মানুষ এসে ফিরে যাচ্ছে।
advertisement
সুন্দরবনের কুলতলি থেকে শুরু করে জয়নগর, রায়দিঘি, মথুরাপুর এলাকার মানুষজন ভিড় করেন মেইন ডাকঘরে। গ্রাহকদের অভিযোগ, কবে মেশিন ঠিক হবে, কেউ বলতে পারছেন না। উল্টে খারাপ ব্যবহার করা হচ্ছে গ্রাহকদের সঙ্গে। বাইরে বিভিন্ন সাইবার কাফে, গজিয়ে ওঠা দোকানে কালোবাজারি চলছে। আধার কার্ডের কাজ করতে যে যাঁর মতো টাকা নিচ্ছেন। কেউ নিচ্ছেন ৩৫০ টাকা কেউ বা ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা।
কুলতলির বাসিন্দা স্বপন হালদার বলেন, বারুইপুরের মেন ডাকঘরের যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে অন্য জায়গার হাল কী! একটা মেশিন ১৫ দিন ধরে ঠিক করতে পারছে না। আবার বারুইপুরের মদারাট ডাকঘরে কম্পিউটারে লিঙ্ক না থাকায় রোজ ফিরতে হচ্ছে মানুষজনকে।
আটঘড়ার বাসিন্দা কাজল ঘোষ বলেন, নতুন তারিখ দিয়ে বলে দেওয়া হচ্ছে, ওইদিন কাজ হবে। আবার সেদিন ডাকঘরে এলে বলা হচ্ছে, লিঙ্ক নেই। আজ হবে না। কীভাবে জানব লিঙ্ক কবে আসবে? ডাকঘরের কর্মীরা বলছেন, ল্যান্ড ফোন খারাপ। এসে ঘুরে যাবেন, যদি ঠিক হয়। আমাদের সঙ্গে মজা চলছে ডাকঘরে। গ্রাহকরা বলেন, এদিকে, বাইরের সাইবার কাফেতে কম্পিউটারে লিঙ্ক ঠিকই থাকছে। মোটা টাকা দিয়ে সেখানে কাজ করা হচ্ছে। এদিকে, সরকারি জায়গায় লিঙ্ক থাকছে না। কেউ বলারও নেই।
সুমন সাহা