আরও পড়ুনঃ ডায়াবেটিসে ভুলেও মুখ তুলবেন না এই ফল, নিমেষে সুগার ছোঁবে ৪০০! এক ভুলেই সর্বনাশ!
কয়লা খনি প্রকল্প এলাকার মধ্যে থাকা ১২ একর জমির মধ্যে বহু মহুয়া, শাল, অর্জুন ও অন্যান্য গাছ রয়েছে সেগুলি অন্য জায়গায় বসানোর কাজ শুরু হয়। গত বুধবার থেকেই সেই কাজ পুরো দমে শুরু হয়েছে। তারপরে মোহাম্মদ বাজারের চাঁদা মৌজার গিয়ে দেখা যায় গাছ তোলার কাজ। প্রথমেই পর্যাপ্ত পরিমাণ জল দিয়ে গাছের গোড়ার মাটি নরম করা হচ্ছে। তারপর ওই গাছের মূল শিকড় অনুযায়ী প্রথমে একটি ‘রুট বল’ বানানো হচ্ছে। তারপরেই সেখানে বিশেষ হরমোন ছেটানো হচ্ছে। সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে এক ধরনের বিশেষ অ্যাসিড। গাছ তোলা হলে গাছের শিকড় থেকে শুরু করে ডাল পর্যন্ত সমস্ত কাটা জায়গায় ‘ব্লু কপার’ লাগানো হচ্ছে, যাতে সেই কাটা অংশ থেকে পুনরায় ডাল ও শিকড় বের হয়।
advertisement
যাতে কাটা অংশগুলি শুকিয়ে না যায় সে কারণেই ওই ওষুধ লাগানো হচ্ছে। আবার যেখানে গাছগুলিকে পুনর্বাসন দেওয়া হচ্ছে সেই জায়গায় গর্তে উইপোকা দমন করার বিশেষ প্রে করা হচ্ছে তারপর এই বিশেষ ওষুধ দেওয়ার পর গাছগুলি স্থাপন করা হচ্ছে। তবে, এই গাছগুলি পুনরায় প্রতিস্থাপন করার সময় দেখা গেল যেন এক অন্য ধরনের চিত্র। যে চিত্র আজ পর্যন্ত বীরভূম-এর বাসিন্দারা হয়ত কোনও দিন দেখেননি। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়, গাছ তুলে অন্য জায়গায় পুনর্বাসন দেওয়া হবে। একটিও গাছ নষ্ট হবেনা।
আরও পড়ুনঃ রোজ সকালে জাস্ট ৫টা করে খান! থলথলে মেদ মাত্র ১০ দিনেই ভ্যানিশ! করতে হবে না জিম-ডায়েট
সেই প্রতিশ্রুতি মতই কাজ শুরু করা হয়।সূত্রের খবর, প্রকল্প এলাকার মধ্যে থাকা ৯৮০টি গাছের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ১৮০টিকে পুনর্বাসন দেওয়া হবে। সেইমত পুনর্বাসনের সময় ফুল চন্দনে আপ্যায়ন করা হয় গাছগুলিকে,শপথ করা হয় আগলে রাখার। সিঁদুর এবং হলুদ দেওয়া হয় প্রত্যেক গাছকে। গাছের গোড়ায় দেওয়া হয় জল। এখানেই শেষ নয় গাছগুলিকে আনন্দ দেওয়ার জন্য শুরু হয় নাচ এবং গান। ঠিক এমন ভাবেই বরণ করে নিলেন গাছগুলিকে আদিবাসীরা।বার্তা দিলেন নতুন পরিবেশে আশা গাছগুলিকে যেন সযত্নে এবং ভালবাসায় রাখেন এলাকাবাসীরা।
সৌভিক রায়