বীরবাহা বলেন, “এই সময় চারিদিকে চোখ গেলেই লাল পলাশ দেখা যায়। যা প্রকৃতির সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলেছে। আগামী দিনে পার্কের সৌন্দর্য এই নতুন সদস্যের হাত ধরে আরও বাড়বে তাই জন্য চিতাবাঘটির নাম রেখেছি পলাশ।”
আরও পড়ুন: রক্তের ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ না করলে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে! রোজ রসুন খান, কীভাবে? জানুন
advertisement
ঝাড়গ্রাম শহরের কদমকানন সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে চিড়িয়াখানাটি। ঝাড়গ্রামের ডিএফও উমর ইমাম বলেন,”চিড়িয়াখানায় এখন একটি হর্ষিণী নামের পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী চিতাবাঘ ও পূর্ণবয়স্ক হওয়ার পথে থাকা একটি স্ত্রী ও একটি পুরুষ চিতাবাঘ রয়েছে। প্রজননের জন্য একটি পুরুষ চিতাবাঘের অভাব ছিল। সেই অভাব পূরণ করার জন্য উত্তরবঙ্গ থেকে একটি পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘ নিয়ে আসা হয়েছে”।
জানা গিয়েছে, বুধবার উত্তরবঙ্গ থেকে রওনা দিয়ে অনেকটা পথ অতিক্রম করে আসার কারণে দু’দিন নাইট সেলটারে রাখা হবে চিতাবাঘটি। তারপর চিতাবাঘের ইনক্লোজারের একটি ঘরে পাঁচ দিন রাখার পর চিড়িয়াখানায় থাকা অন্যান্য চিতাবাঘের সঙ্গে ছেড়ে দেওয়া হবে উত্তরবঙ্গ থেকে নিয়ে আসা চিতাবাঘটিকে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্কে উত্তরবঙ্গ থেকে হর্ষিণী ও সোহেল নামের একটি স্ত্রী ও পুরুষ চিতাবাঘ নিয়ে আসা হয়েছিল। ২০২০ সালে প্রথম দুটি সন্তান প্রসব করলে দু’টি সন্তানকে খেয়ে ফেলে হর্ষণী। তার কয়েক মাসের পরে ফের দু’টি সন্তান প্রসব করে হর্ষিণী। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে আরও তিনটি সন্তান প্রসব করে হর্ষিণী। চিড়িয়াখানার ইনক্লোজারের চিতাবাঘের সংখ্যা হয়ে দাঁড়ায় ৭টি।
২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে সোহেল ও তার দুই পুরুষ সন্তান সহ ৩টি পুরুষ চিতাবাঘকে উত্তরবঙ্গে পাঠিয়ে দেয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। চিড়িয়াখানায় রাখা হয়েছিল হর্ষিণী ও তার তিন সন্তানকে। গলায় মাংসর হাড় আটকে গিয়ে একটি স্ত্রী চিতাবাঘের মৃত্যু হয়। সোহেল উত্তরবঙ্গে চলে যাওয়ার পর থেকেই সঙ্গী হারা হয়ে পড়েছিল হর্ষিণী। এবার নতুন সঙ্গী পলাশকে নিয়ে সংসার করতে চলেছে হর্ষিণী। পলাশ আশায় চিতাবাঘের সংখ্যা বৃদ্ধির দিকে এখন তাকিয়ে রয়েছে পার্কের কর্মচারী থেকে শুরু করে কর্তৃপক্ষ সকালেই। এছাড়াও, বয়স্ক পর্যটকদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল জুলজিক্যাল পার্কের আয়তন বেশি থাকায় তাঁদের পায়ে হেঁটে দেখা খুবই কষ্টকর।
এবার সেই দাবিও পূরণ হতে চলেছে আগামী সোমবার থেকে। বীরবাহা বলেন, “চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখার জন্য একটি ইলেকট্রিক্যাল গাড়ি নিয়ে আসা হয়েছে। ১৪ জন যাত্রী নিয়ে নির্দিষ্ট রুট ধরে পুরো চিড়িয়াখানাটি ঘুরে দেখানো হবে পর্যটকদের। বয়স্ক ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্নরা সাধারণ মানুষের মতো চিড়িয়াখানা বেড়ানোর আনন্দ উপভোগ করতে পারে তার জন্যই আমাদের এই উদ্যোগ”।
বুদ্ধদেব বেরা