মহিষাদল ব্লকের অন্তর্গত ইটামগরা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে ঘটেছে এমন ঘটনা। ঐ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বার্ধক্য ভাতা প্রাপক সাবিত্রী আদক শেষ ছয় মাস ধরে সরকারি তালিকায়মৃত। সরকারি তালিকায় মারা গেলেও সাবিত্রী আদক বেঁচে আছেন। এমনকি তিনি হেঁটে চলে বেড়ান সংসারের কাজকর্ম করেন। কিন্তু হঠাৎই বার্ধক্য ভাতার সরকারি প্রকল্পের টাকা তাঁর একাউন্টে ঢোকা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কারণ তিনি সরকারি তালিকায় মৃত। কিন্তু জীবিত থেকেও সরকারি তালিকায় মৃত কেন তিনি? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে দেখা যায় ইটা মগরা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে ওই নামে আরও একটি বয়স্কা মহিলা আছেন, যিনি মৃত। আর সরকারি কর্মচারীদের ভুলে জীবিত সাবিত্রী আদক মৃতের তালিকায়।
advertisement
আরও পড়ুন: সাগরে ডুবে রয়েছে বাংলাদেশি জাহাজ, গঙ্গাসাগরের আগে বড় নির্দেশ মমতার!
সরকারি কর্মচারীদের ভুল হয়েছে বলেই এই পরিস্থিতি। তার জেরেই প্রবীনা ওই মহিলা তার প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ভাতা প্রাপক সাবিত্রী আদক বলেন, ‘কয়েক মাস ধরে আমি বার্ধক্য ভাতা পাচ্ছি না। বলছে আজ হবে কাল হবে। আগে ভাতা পেতাম। কেন হঠাৎ করে তা বন্ধ হয়ে গেল জানি না।’ বৌমা জয়ন্তী আদক বলেন, হঠাৎ করে ওনার বার্ধক্য ভাতা বন্ধ হয়ে গেছে। অঞ্চলে গিয়েছিলাম ওনারা বললেন কোনও সমস্য নেই টাকা ঢুকে যাবে। তবে সরকারি খাতায় কেন ওনাকে মৃত দেখান হয়েছে বলতে পারব না।’
আরও পড়ুন: এক প্রণামেই পদ হাওয়া, ‘গুরুদেব’ শিশিরের কারণে তৃণমূলে সব খোয়ালেন সুবল
“রামকৃষ্ণ দাস ইটামগরা ২ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, ‘গ্রামে ২ জন বার্ধক্যভাতা প্রাপক ছিলেন একজন রিজিয়ানুর বিবি ও সাবিত্রী আদক। রিজিয়ানুর মারা গেলেও সাবিত্রী আদক বেঁচে আছেন। অর্থাৎ মৃত রিজিয়ানুর বিবি অ্যাকাউন্টে ভাতার টাকা ঢুকছে। যিনি বেঁচে আছেন তাঁকে সরকারি খাতায় মৃত দেখানো হয়েছে কিন্তু তিনি সরকারি প্রকল্পের প্রাপ্য টাকা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। যারা বাড়ি বাড়ি এই কাজের সার্ভে করতে গিয়েছিল তাদের ভুলে ওই বয়স্কা মহিলা তার প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত। আমরা চাই উনি যেন তার প্রাপ্য পায়, সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে।
—– সৈকত শী





