স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল গভীর রাতে হঠাৎ-ই ওই ষাঁড় ঢুকে পড়ে এলাকায়। মুহূর্তের মধ্যে চারটি বাড়ি ভাঙচুর করে দেয় সে। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলির অধিকাংশই ছিল গরুর গোয়াল ঘর। ফলে বহু পরিবার বিপাকে পড়েছে। শুধু তাই নয়, আশপাশের জমির ধান ও শাকসবজির ফসলেও ব্যাপক ক্ষতি করেছে ওই ষাঁড়। এতে কৃষকদের মাথায় হাত পড়েছে।
advertisement
এদিন সকালে ফের হঠাৎ আক্রমণ চালায় ষাঁড়টি। তার আঘাতে গুরুতর জখম হন এক ব্যক্তি। আহত ব্যক্তিকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। যদিও তাঁর অবস্থা এখন স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, গত ছয় মাস ধরে এই সমস্যা চললেও এখনও পর্যন্ত কোনও সমাধান হয়নি। ইতিমধ্যেই তাঁরা বিষয়টি স্থানীয় কাউন্সিলরকে জানিয়েছেন। তবে কার্যকরী পদক্ষেপের অভাবেই আতঙ্ক ক্রমশ বাড়ছে। রাতদিন ভয় নিয়ে বসবাস করতে হচ্ছে স্টিমার ঘাট এলাকার মানুষদের। শিশু ও বৃদ্ধদের নিরাপত্তা নিয়েও দুশ্চিন্তা বাড়ছে।
আরও পড়ুন: ‘যে কারণে বাংলায় SIR, সেটা সফল হবে না, যদি না…”, কোন বড় ফাঁক রয়েছে? কেন এমন বললেন দিলীপ ঘোষ?
প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়ে এক বাসিন্দা বলেন, “প্রায় প্রতিদিনই আমরা আতঙ্কে থাকি। গোয়াল ঘর ভাঙছে, ফসল নষ্ট হচ্ছে। অথচ কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।” এলাকার মানুষের দাবি, দ্রুত প্রশাসন উদ্যোগ নিয়ে ওই ষাঁড়কে ধরার ব্যবস্থা করুক। নইলে যে কোনও সময় বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।