আরও পড়ুনঃ সহজ ৫ কাজেই বাজিমাত! হাই ব্লাডপ্রেশার ম্যাজিকের মত কমবে, উচ্চ রক্তচাপ পালাবে বলে বলে
জল থেকে উৎপন্ন হত বিদ্যুৎ। সেক্ষেত্রে প্রয়োজন হতবড় বড় ড্যাম, কিংবা টারবাইন, চাকা ঘুরিয়ে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে খরচ হত অনেক বেশি। সেক্ষেত্রে প্রয়োজন হত বিভিন্ন পারমিশনের। এবার সেই প্রক্রিয়া আরও সহজ। নদীতে নৌকার দ্বারা নদীর প্রবাহকে কাজে লাগিয়ে বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে এবার বিদ্যুৎ উৎপন্ন করছেন আইআইটি খড়্গপুরের বিজ্ঞানীরা। নাম দিয়েছেন ভর্টেক্স এনার্জি জেনারেটর। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, প্রবাহমান বিভিন্ন নদী কিংবা খাল থেকেও বিদ্যুৎ উৎপন্ন হতে পারে। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর পরীক্ষামূলকভাবে সুবর্ণরেখা নদীতে ইতিমধ্যে চালু হয়েছে এই বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থা। সেক্ষেত্রে নদীকেন্দ্রিক বিভিন্ন ইকো ট্যুরিজমকে সম্পূর্ণভাবে অপ্রচলিত বিদ্যুৎ নির্ভর করা যাবে। যেখান থেকে নদী দূষণ অনায়াসে রোধ করা যাবে।
advertisement
প্রসঙ্গত পৃথিবীর তিন ভাগ জল একভাগ স্থল। ইতিমধ্যে প্রচলিত শক্তির উৎপন্নের জন্য কাঁচামালের ভান্ডার ইতিমধ্যে শেষ হয়ে আসছে। তবে বিকল্প হিসেবে অপ্রচলিত শক্তি হিসেবে সোলার এর ব্যবহার বেড়েছে। তবে জল থেকে উৎপন্ন হচ্ছে বিদ্যুৎ। যে ক্ষেত্রে খরচ অতিরিক্ত, প্রয়োজন বড় বড় ড্যাম, টারবাইন চাকা। তবে এবার প্রবাহমান নদীর গতিতে কাজে লাগিয়ে উৎপন্ন হবে বিদ্যুৎ। আইআইটি খড়গপুর এবং হানিলুপ টেকনোলজি যৌথ উদ্যোগে সুবর্ণরেখা নদীতে ভারতবর্ষের পাশাপাশি পৃথিবীর মধ্যে প্রথম এই প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো হচ্ছে। পরীক্ষারমূলকভাবে এই প্রকল্পে সফলতা জুটলে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা চালু করা যাবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
আরও পড়ুনঃ ১৫ দিন খালি পেটে খেলেই, ভ্যানিস ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল! এই ‘জল’ একাধিক রোগের থেকে মুক্তি দেবে সহজেই
সুবর্ণরেখা নদীর বহমান জলস্তর থেকে উৎপন্ন হবে পরিবেশ বান্ধব বিদ্যুৎ শক্তি। নদীর জল স্তরে গড়ে উঠবে মনোরম ‘ইকো ট্যুরিজম’। এখান থেকে খুব কম খরচে পরিবেশ বান্ধব বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে। উৎপাদিত সেই বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হবে নদীর উপর গড়ে তোলা টুরিষ্ট কটেজে। সবটাই পরিবেশ বান্ধব ও পর্যটকদের কাছে খুবই আকর্ষণীয় হবে বলে দাবি সংস্থার পক্ষ থেকে।
রঞ্জন চন্দ