আরও পড়ুনঃ হঠাৎ আবার কী হল! ২১ পাকিস্তানি নিয়ে ওড়িশার পারাদ্বীপ বন্দরে জাহাজ! তড়িঘড়ি যা করা হল…
যাদবপুরের সন্তোষপুর এলাকার বাসিন্দা কলেজ পড়ুয়া দেবপ্রিয়া ঘোষের পোষা বিড়াল এই মিনি। শুধু মিনিই নয়, আরও ছ’টা বিড়াল রয়েছে দেবপ্রিয়াদের। গত মাসের ২৯ তারিখ মিনিকে খেয়াদহ ২ পঞ্চায়েতের আটঘড়া এলাকায় একটি পেট সেন্টারে নিয়ে যান দেবপ্রিয়ারা। অস্ত্রোপচারের পর ৭ তারিখ বাড়ি ফেরার কথা ছিল মিনির। কিন্তু দেবপ্রিয়া জানান, ভর্তির পরের দিন থেকেই নানা টালবাহানা শুরু করে পেট ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। চাইলেও তাঁদের সঙ্গে মিনির দেখা করতে দেওয়া হচ্ছিল না। তাঁরা ক্লিনিকে আসতে চাইলে নানা অজুহাত দেখিয়ে বারণ করা হয়। ভিডিয়ো কলেও দেখানহয়নি। এরপর ৫ মে পেট ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের তরফে দেবপ্রিয়াদের জানানো হয়, মিনি ক্লিনিক থেকে পালিয়েছে।
advertisement
সেই দিনই নরেন্দ্রপুর থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন দেবপ্রিয়ারা। তবে সেখানেই থেমে থাকেননি তাঁরা। আটঘড়া এলাকায় যেখান থেকে মিনি নিখোঁজ হয়েছিল সেখানে গিয়ে খোঁজ শুরু করেন তাঁরা। এলাকায় বাড়ি বাড়ি, দোকানে ঘোরেন দেবপ্রিয়া ও তাঁর মা। মিনির ছবি দেখিয়ে খোঁজাখুঁজি করেন। মিনির ছবি দেওয়া পোস্টার ছাপিয়ে দেওয়ালে দেওয়ালে লাগিয়ে দেন। মিনিকে খুঁজে দিতে পারলে দু হাজার টাকার পুরস্কারও ঘোষণা করেন। গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার এলাকায় খোঁজ চালান দেবপ্রিয়া ও তাঁর মা। অবশেষে সোমবার খোঁজ মেলে মিনির। ওই পেট ক্লিনিকের পাশেই একটি আবাসনের নিরাপত্তারক্ষীরা পোস্টারে দেওয়া নম্বরে ফোন করে জানান, ওই আবাসনে দেখা গিয়েছে একটি বেড়ালকে। খবর পেয়েই ওই আবাসনে চলে আসেন দেবপ্রিয়ারা। তাঁদের দেখেই ছুটে আসে মিনি। মিনিকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন ডেবপ্রিয়ারা। ফেরার আগে পুরস্কারের দু হাজার টাকা দিয়ে আসেন নিরাপত্তারক্ষীদের।
আরও পড়ুনঃ বর-বউ থেকে মা-ছেলে! কোজাগরি থেকে চিরসখা! জানেন কি ‘আসলে’ বয়সের কত ফারাক অপরাজিতার-রাজার
দেবপ্রিয়া বলেন, “মিনি পরিবারেই এক জন। ওকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না বলে পরিবারের সকলে খুব ভেঙে পড়েছিল। এখন খুবই খুশি।” তিনি আরও বলেন, “পেট ক্লিনিকের গাফিলতিতেই আমরা আমাদের মিনিকে হারাতে বসেছিলাম। ওদের আরও সতর্ক হওয়া উচিত।
সুমন সাহা