আজ মন খারাপ অশোকনগরের ফুচকা প্রেমীদের। সাধারণ তেঁতুল জলের ফুচকা ছাড়াও তার হাতের আলুকাবলি, চুরমুর জনপ্রিয় ছিল অশোকনগরে। শুধু ফুচকা নয়, শেষে তেঁতুল গোলা জলের আবদার পূরণ করতেন সকলের সুপরিচিত মুকুন্দ দা। কিন্তু আজ থেকে আর মিলবে না তাঁর ফুচকা। বারো ভাজা বিক্রি দিয়ে শুরু হয়েছিল ব্যবসা, পরবর্তীতে অশোকনগরের অতি পরিচিত আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়ে ফুচকার গাড়ি নিয়ে বস্তে শুরু করেন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ হুহু করে বাড়ায় হিমোগ্লোবিন, ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়, ব্রকলির কার্যকারিতা জেনে রোজ খান
স্কুলে টিফিন শেষের ঘণ্টা পড়ে গিয়েছে, তবু টক জল ফাউ ফুচকার লোভে মুকুন্দ দাকে ঘিরে রয়েছে ছাত্রীরা, এটাই যেন ছিল চেনা ছবি। স্কুলের ছাত্রীদের এত ভিড় সামাল দিয়েও, মাথা ঠান্ডা রেখে দুলকি চালে ফুচকা বিক্রির সেই ছবি আর দেখা যাবে না বলেই, নানা স্মৃতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিচ্ছেন অশোকনগরের ফুচকা প্রেমীরা। স্কুল জীবনের নানা স্মৃতি রোমন্থন করে তাই মুকুন্দদাকে ঘিরে নানা ঘটনা তুলে ধরে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়ের অগণিত ছাত্রী।
শুধু আদর্শ বালিকা বিদ্যালয় নয়, পরবর্তী সময়ে অশোকনগরের ৮ নম্বর কালীবাড়ি মোড় এলাকায় বসতেন। সন্ধে থেকে তার চারপাশের ভিড় যেন ছিল নিত্যসঙ্গী। তার হাতের ফুচকার লোভে রীতিমতো জল ঝরতো জিভে। যখন একদল ফুচকা খাওয়ার লাইনে দাঁড়িয়ে গপাগপ খাচ্ছে ফুচকা, তখন আর একদল তৈরি হয়ে থাকতো ফুচকার জন্য। গন্ধ লেবু, তেঁতুল মাখার গন্ধে আলাদা আমেজ তৈরি হতো ৮ নম্বর চত্বরে। বাড়িতে বন্ধু-বান্ধব অতিথি এলে মুকুন্দদার ফুচকা, আলুকাবলি খাওয়ানো ছিল আবশ্যিক।
কে, কেমন ঝাল খাবে শুনে প্রতি রাউন্ডে চেঞ্জ হত আলু মাখা। কে নেই, সেই ফুচকা খাওয়ার ভিড়ে! প্রেমিক প্রেমিকা, বন্ধু-বান্ধবী, নব বিবাহিত দম্পতি, ছেলে-মেয়ে, দাদু-দিদা, কাকু-কাকিমা সকলে। আর সকলের সেই ভিড় ছিল এই একজনকে ঘিরেই, মুকুন্দ দা। স্পেশ্যাল ফুচকা, চাটনি ফুচকা, দই ফুচকার যুগে রমরমিয়ে চলত। আজ আর নেই সকলের প্রিয় মুকুন্দ দা, সোশ্যাল মিডিয়ায় এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই রীতিমতো আবেগতাড়িত অশোকনগর।
Rudra Nrayan Roy