উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে ছট পুজো। পশ্চিম বর্ধমানের ঝাড়খণ্ড সংলগ্ন এলাকাগুলিতে ছট পুজো উপলক্ষে বিশেষ জাঁকজমক লক্ষ্য করা যায়। কারণ এই সমস্ত এলাকাগুলিতে অবাঙালি মানুষের বসবাস বেশি। তারা ছট পুজোর আনন্দে রীতিমত মেতে ওঠেন। কালী পুজোর আগে থেকেই জেলার বিভিন্ন জায়গাতে ছট পুজোর প্রস্তুতি শুরু হতে দেখা গিয়েছে। প্রশাসনিক মহলে প্রস্তুতি চলছে। তাছাড়াও ছট ব্রতীদের জন্য নানারকম ব্যবস্থা নিয়েছে আসানসোল পুরনিগম।
advertisement
আরও পড়ুন: ২৬ পুরুষ ধরে চলে আসছে এই পুজো! অষ্টমীর বলিদানের মাংস দেওয়া হয় নবমীর ভোগে
প্রসঙ্গত, রবিবার সূর্য প্রণামের উদ্দেশ্যে ছট পুজোর বিভিন্ন ঘাটগুলিতে পুণ্যার্থীরা ভিড় জমাবেন। ভোর পর্যন্ত ব্রত পালনকারীরা থাকবেন নদীঘাট অথবা জলাশয়ের ঘাটগুলিতে। ফলে সেখানে যাতে মানুষ জনের অসুবিধা না হয়, তার জন্য আলোর ব্যবস্থা যেমন করা হচ্ছে, তেমনভাবেই ব্যবস্থা করা হয়েছে শৌচালয়ের। একইসঙ্গে জলাশয়গুলিকে পরিষ্কার করানো হচ্ছে। যে সমস্ত অস্থায়ী ঘাটগুলি রয়েছে, সেগুলিকে মেরামত করা হচ্ছে। আর তার মধ্যে এই নতুন সুখবর দিয়েছেন মেয়র।
আরও পড়ুন: ‘সংগ্রামের নজরুলগীতি নিয়ে এআর রহমানের থেকে এটা কাম্য নয়’, নজরুলের পরিবারে তীব্র প্রতিবাদ
দীর্ঘদিন ধরেই ছট পুজোর উদ্যোক্তা এবং ছটব্রত পালনকারীদের দাবি ছিল যে, সমস্ত ছট পুজোর ঘাটগুলিতে বেশি মানুষের ভিড় হয়, সেগুলিকে যাতে মেরামত করা হয়। সেখানে যাতে স্থায়ী ঘাট বানানো হয়। আর অবশেষে সেই দাবি পূরণ হতে চলেছে শীঘ্রই। কারণ মেয়র বিধান উপাধ্যায় জানিয়েছেন, শহরের বিভিন্ন জায়গায় মোট ২৪০ টি নতুন ঘাট তৈরি করা হবে। যার মধ্যে ৪০টি টেন্ডার ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। ফলে আশা করা হচ্ছে, খুব শীঘ্রই সেই ঘাটগুলির কাজ শুরু হবে।
নয়ন ঘোষ