সদ্য এই প্রতিযোগিতা শেষ হওয়ার পর অনামিকা গত সপ্তাহে আসানসোলে ফিরে আসেন। অনামিকা জানান, তাঁর বাবা সুকুমার মুখোপাধ্যায় একজন নিরাপত্তারক্ষী এবং মা জলি মুখোপাধ্যায় একটি ব্যাংকে কর্মরত আছেন। পেসেন্স এবং ডেডিকেশনই মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান অনামিকার সাফল্যের চাবিকাঠি, এমনটাই দাবি তাঁর। এই খেলায় একদম প্রথমে তাঁর বাবা-মায়ের সাপোর্ট ছিলনা ঠিকই, তবে ধীরে মায়ের পূর্ণ সহযোগিতা পান তিনি। নিজের জেদেই তিনি পাওয়ার লিফটিংয়ের মত খেলাকে বেছে নেন তিনি। তিনি আরও জানান, কয়েক বছর আগে এলাকার একটি জিমে নিজের ওয়েট লস বা ওজন কমাতে গিয়েছিলেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন : রিচার সাফল্যে গুমায় উৎসবের আবহ! বাংলার মেয়ের জয়ে বদলে গেল পুরো এলাকা, গর্বে ভাসছেন মহিলারা
তখন সেখানকার ইন্সট্রাক্টর তাঁকে পাওয়ার লিফটিং খেলার বিষয়ে জানান। সেই সময় থেকেই তিনি ওয়েট তোলার প্র্যাক্টিস শুরু করেন। তবে পাওয়ার লিফটিং এর জন্য পুষ্টিকর খাবারের প্রয়োজন হয়। খাবারদাবারের বিষয়ে অনেক বেশি সচেতন হতে হয়। তার জন্য অনেক অর্থের প্রয়োজন হয়৷ যা তাঁর বাবা – মায়ের পক্ষে অসম্ভব ছিল। কেবল অনামিকার অদম্য ইচ্ছেশক্তি ও শারীরিক কসরত তাঁকে সাফল্যের পথ দেখিয়েছে। আসানসোলে এই খেলার প্রশিক্ষণ দেওয়ার মত কোচের কোনও ব্যবস্থা নেই। তাই তিনি ঝাড়খণ্ডের বোকারো থেকে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সেখানে তাঁর কোচ বিশিষ্ট দেবী প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে তিনি পাওয়ার লিফটিংয়ের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। তাঁর হাত ধরেই ফেডারেশন কাপে এই সফলতা পেয়েছেন অনামিকা। এই কোচের জন্যই তিনি এশিয়া কাপের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। হিমাচলপ্রদেশে ফেডারেশন কাপ পাওয়ারলিফটিং প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক জিতেছেন তিনি। ওই প্রতিযোগিতায় উচ্চ স্তরে তিন থেকে চারজন মহিলা প্রতিযোগী ছিলেন। আগামী দিনে বাংলা তথা ভারতের আন্তর্জাতিক স্তরে পদক জেতা তাঁর লক্ষ্য। আন্তর্জাতিক স্তরে আসানসোলের গৌরব বয়ে আনতে চান অনামিকা।





