আর বোলপুর শান্তিনিকেতনের এই পৌষ মেলার প্রধান আকর্ষণ হলও বাউল গান। একতারা, দোতারা নিয়ে বাউল শিল্পীরা মঞ্চে গেয়ে ওঠেন ভক্তি ও প্রেমের গান। এছাড়া রবীন্দ্রসঙ্গীত, সাঁওতাল নৃত্য এবং অন্যান্য লোকনৃত্যের পরিবেশনা মেলায় আগত পর্যটকদের মন মুগ্ধ করে। মেলায় হস্তশিল্পের স্টলগুলিতে শান্তিনিকেতনের বিখ্যাত বুটিক, চামড়ার ব্যাগ, টেরাকোটা, কাঠের কারুকাজ, কাঁথা সেলাইয়ের শাড়ি এবং অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী পণ্য। গ্রামীণ বাংলার শিল্পীরা এখানে তাদের সৃষ্টি নিয়ে আসেন। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের খাবারের হোটেল বসে এই মেলা উপলক্ষে।
advertisement
এই দিন প্রথা মেনে ছাতিমতলায় রবীন্দ্রসঙ্গীত, ব্রহ্ম উপাসনা, বৈদিক মন্ত্রপাঠের মধ্য দিয়ে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’ শান্তিনিকেতনে শুরু হল পৌষমেলা। উপাসনায় অংশ নিয়েছিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য প্রবীরকুমার ঘোষ, অধিকর্তা অমিত হাজরা, অধ্যাপক সুমন ভট্টাচার্য। আমন্ত্রিত হিসাবে ছিলেন বীরভূম জেলা শাসক ধবল জৈন, জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। ছিলেন বিশ্বভারতীর অধ্যাপক-অধ্যাপিকা, পড়ুয়া, আশ্রমিকেরা৷ বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে, আনুমানিক প্রায় ১৭০০টি স্টলের প্লট বুক হয়েছে। আদালতের নির্দেশ মেনে দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও প্লাস্টিক বর্জনে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বোলপুরের এসডিপিও রিকি আগরওয়াল জানান, “অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, এসডিপিও ও ডিএসপি পদমর্যাদার আধিকারিকদের নেতৃত্বে প্রায় ২৫০০ পুলিশ কর্মী মোতায়েন থাকছেন। এর মধ্যে থাকছেন মহিলা পুলিশ, র্যাফ, সাদা পোশাকের পুলিশ, অ্যান্টি-ক্রাইম টিম ও বিশেষ উদ্ধারকারী দল। নিরাপত্তা নজরদারিতে বোলপুর-শান্তিনিকেতন জুড়ে স্থায়ী প্রায় ২০০টি সিসিটিভি ক্যামেরার পাশাপাশি মেলা প্রাঙ্গণ ও প্রবেশপথে বসানো হয়েছে আরও ৩০০টি অস্থায়ী ক্যামেরা। পাঁচটি উচ্চমানের ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমেও নজরদারি চালানো হবে। মেলায় থাকছে ৩৬টি পুলিশ সহায়তা কেন্দ্র, ১০টি ওয়াচ টাওয়ার এবং আটটি ড্রপ গেট।





