দিল্লির তিহার জেল মুক্তির পর রাজনীতির মাটি আবারও পাকাপোক্তভাবে নিজের স্থান করে ফেলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রিয় ভাই কেষ্ট৷ তাই পুজোয় গ্রামের ‘মোড়ল’ অনুব্রতর অপেক্ষায় বাসিন্দা৷ ফের আগের মত ধুম হবে, বলছেন সকলে৷ কেমন ভাবে পুজো কাটাবেন,জানালেন অনুব্রত মণ্ডল।
আরও পড়ুন: আর একটু পরেই ঝড়-বৃষ্টিতে লণ্ডভণ্ড হবে কলকাতার পাশের এই তিন জেলা! তালিকায় আপনার জেলা নেই তো
advertisement
অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “হাটসেরান্দি গ্রামে অনেক ঠাকুর। আবার পটের ঠাকুরও আছে৷ তবে আমাদের মাটির ঠাকুর৷ সব রকম নিময় কানুন মেনেই পুজো হয়৷ আমি আমার গ্রামের মায়ের মুখ দেখি তারপর অন্য মায়ের মুখ দেখি৷ আমি ষষ্ঠী বা সপ্তমীর দিন গিয়ে নিজের মায়ের মুখ দেখবো৷ তারপর অন্য মায়ের মুখ দেখবো৷” পুজোর ৪ দিন কিভাবে কাটাবেন তিনি? কেষ্ট বাবু জানান, প্রতিবারের মত এবারও তিনি স্নান সেরে সকাল ১০ থেকে সাড়ে ১০ টার মধ্যে গ্রামের বাড়িতে চলে যাবেন৷ আবার বিকেল ৫ থেকে সাড়ে ৫ টায় ফিরবেন৷
তিনি আরও বলেন, “বাড়ির পুজো, পূর্বপুরুষের পুজো, ভাল লাগে সবার সঙ্গে বসে কথা বলতে। বাচ্চা বয়স থেকে দেখছি, এ তো আর আজকের পুজো নয়৷ গ্রামের মানুষেরা খুব ভাল হয়৷ ওদের নিষ্পাপ মন৷ ওরা সবাইকে নিয়েই চলে৷ আমাদের গ্রামের পরিবেশও খুব ভালো।” নানুর থানার হাটসেরান্দি গ্রাম৷ এই গ্রামে বেশ কয়েকটি দুর্গাপুজো হয়৷ মাটির প্রতিমা সহ ঘটের পুজো, পটের দুর্গাপুজোরও চল আছে৷ গ্রামে মণ্ডল বাড়ির শতাব্দী প্রাচীন পুজো কয়েক দশক ধরে ‘অনুব্রত মণ্ডলের গ্রামের বাড়ির পুজো’ হিসেবে খ্যাত। গ্রামে লোক মুখে অনুব্রত মণ্ডলের একটি ডাক নাম আছে, তা হল ‘কেষ্ট মোড়ল’। প্রতি বছর এই পুজোয় অংশ নেন অনুব্রত মণ্ডল। সঙ্গে থাকে মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল। পুজোর ৪ দিন গ্রামবাসীরা মুখিয়ে থাকেন এই পুজোর জন্য৷ বিশাল সেই আয়োজন, খাওয়া-দাওয়া, নেতা-মন্ত্রীদের গাড়ি, কনভয়৷ অনুব্রত মণ্ডলকে দেখতে উপচে পরা ভিড় প্রভৃতি। জেল মুক্তির পর দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সান্নিধ্যে এসে ফের স্বমহিমায় অনুব্রত মণ্ডল। বর্তমানে বীরভূমে তাঁর রাজনৈতিক জমি অনেক শক্ত৷ দলের জেলা কোর কমিটির আহ্বায়ক তিনি৷ তাই এবার গ্রামের পুজোয় জৌলুস অনেক বেশি৷ জোর কদমে চলছে তারই প্রস্তুতি।