হুগলি জেলার কানাইপুর এলাকার বাসিন্দা অরূপ দে জানান, তিনিও এই প্রতারণার শিকার হয়েছেন।তার নামেও কেনা হয়েছে এক লক্ষ ত্রিশ হাজার টাকা দামী ফোন। অরূপ জানান, সৌমিক পার্সোনাল লোন করিয়ে দেওয়ার নাম করে তার সঙ্গে যোগাযোগ করে। এরপর একদিন লোন করানো হবে বলে অফিসে নিয়ে যাওয়ার নাম করে ডানকুনির একটি ফোনের দোকানে নিয়ে যান। সেখানে অরূপকে বলা হয় প্রথমে তার ডকুমেন্টস দিয়ে একটা যে কোনও জিনিস নেওয়া হবে কিন্তু তার জন্য কোনও টাকা কাটা হবেনা। এরপর অরূপের নামে দামী ফোন নেন সৌমিক। তারপর অরূপকে বলা হয় কিছুদিনের মধ্যেই লোনের টাকা পেয়ে যাবে। কিন্তু কিছু দিন বাদেই ফোনের ইএমআই কাটার ম্যাসেজ আসতেই মাথায় হাত পড়ে তার।
advertisement
প্রতারণার শিকার কোন্নগরের আরেক বাসিন্দা মৌমিতা সিং জানান, ‘আমাদের পার্সোনাল লোন করিয়ে দেওয়ার নাম করে সৌমিক আমাদের পরিবারের আমার,আমার স্বামীর ও আমার মায়ের নামে প্রায় চার লক্ষ টাকার ফোন কিনে নেন আমাদের ডকুমেন্টস ব্যবহার করে। আমাকে সৌমিক বলে,আমার একার নামে বেশি লোন হবেনা তাই আমাদের পরিবারের সকলের নামে ভাগ করে দেওয়া হবে। প্রথমে আমাকে নিয়ে কলকাতা একটি বড় ফোনের শোরুমে নিয়ে গিয়ে সেখানে আমার হাতে একটা দামী ফোন ধরিয়ে ছবি তুলে নেওয়া হয়। তারপর আমায় বলে বাড়ি চলে যেতে কিছু সময় পরে লোনের টাকা পেয়ে যাবো। কিন্তু আমি যখন প্রশ্ন করি আমার তো ফোনের দরকার নেই, তখন বলা হয় এটা প্রথমে করতে হয় কিন্তু এর টাকা কাটা হবেনা। যখন লোন হবে শুধু লোনের টাকাই দিতে হবে। কিন্তু কিছু দিন পরেই আমার কাছে ইএমআই এর ম্যাসেজ আসে। তখন সৌমিক তার স্ত্রীর একাউন্ট থেকে ইএমআই এর একটা টাকা পাঠায়। তারপর থেকেই আর খোঁজ নেই সৌমিকের।’
এই বিষয়ে কোন্নগর পুরসভার পুরপ্রধান স্বপন দাস জানান, ছেলেটি আগে নবগ্রাম এলাকায় থাকত।কিছু বছর এদিকে ফ্ল্যাট কিনে এসেছে। আগেও এর বিরুদ্ধে এসব কথা শোনা যেত। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে। অভিযুক্তকে হাওড়া দাসনগর থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।