ভাইপোর পরিচয় দিয়ে কাকিমার পৌরসভার কাজের উল্লেখ করে চাবি দিয়ে মোটরসাইকেল স্ট্যান্ডের মালিকের কাছে রাখা এক ব্যবসায়ীর মোটরসাইকেল নিয়ে উধাও। শান্তিপুর রেলস্টেশন সংলগ্ন গোডাউন মাঠের পাশেই নীলমণি বাগচীর কাপড়ের হাট যার নাম নীলমণি মার্কেট। হাট বসে প্রত্যেক সপ্তাহের বুধ এবং শনিবার।
হাটে আসা দোকানদাররা গোডাউন মাঠ সংলগ্ন এলাকায় যে সমস্ত গ্যারাজগুলি রয়েছে সেই গ্যারেজগুলোতেই মোটরসাইকেল রেখে নিরাপদে ব্যবসা করেন, ব্যবসা গ্যারেজের মালিককে পয়সা দিয়ে মোটরসাইকেল কিংবা যে যার সাইকেল নিয়ে তবে বাড়ি ফিরে যান।
advertisement
আরও পড়ুন- উল্টে গেল কুম্ভগামী বাস! নয়ানজুলিতে বড় কাণ্ড, বরাতজোরে রক্ষা যাত্রীদের
ঠিক তেমনই প্রত্যেকদিনের মতো সকালে গ্যারেজে নিজের মোটরসাইকেল রেখে হাটে গিয়ে নিশ্চিন্তে ব্যবসা করছিলেন সাহাবুল হোসেন। জানা যায়, দীর্ঘ আড়াই বছর ধরে তিনি এই হাটে এসে রেডিমেড কাপড়ের ব্যবসা করেন। প্রত্যেকদিন ভোর ছয়টার সময় এই গ্যারেজেই মোটরসাইকেল রেখে তারপরে তিনি হাটে বসেন।
তিনি অভিযোগ করেন, এদিন শনিবার ভোর বেলায় গাড়ি রাখার পর আনুমানিক বেলা দেড়টার সময় গ্যারেজে এসে তার বাইক দেখতে গেলে তিনি দেখেন তার বাইকটি গ্যারেজে নেই। গ্যারেজের মালিককে তিনি জিজ্ঞাসা করলে জানান, এক যুবক এসে বাইকের মালিকের ভাইপোর পরিচয় দিয়ে বাইক নিয়ে গেছেন।
কিছুক্ষণ বাদেই গ্যারেজ কর্তৃপক্ষ এবং মোটরসাইকেল হারানো ব্যক্তির মধ্যে শুরু হয় বাগবিতণ্ডা। বাইকের মালিকের প্রশ্ন সঠিক পরিচয় পত্র না জেনে যাচাই না করে কেন গ্যারেজের ওই মালিক যুবককে গাড়িটি নিয়ে যেতে দিলেন। কারণ তিনি নাকি পরিষ্কার ভাবে গ্যারেজের মালিককে জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি নিজে গ্যারেজের মালিককে কারোর নাম না বলে গেলে কাউকে তার বাইক যেন না দেওয়া হয়।
যদিও এরপর বাইক চুরি হওয়ার কারণে শান্তিপুর থানায় তিনি কমপ্লেন করবেন কিনা জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি অসংলগ্ন ভাবে বলেন, বাইক কেনা হলেও সমস্ত ডকুমেন্টস দেওয়ার পরেও শোরুম থেকে নাকি তাকে গাড়ির নাম্বার প্লেট এখনও পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। যদিও কেন দেওয়া হয়নি সে বিষয়ে তিনি কিছু বলতে চাননি।
সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গেছে, ওই মোটরসাইকেল এর মালিক অন্য কেউ হয়তো অর্থ ধার নেওয়ার কারণেই তিনি মোটরবাইকটি চড়ে ঘুরে বেড়ান। সুতরাং স্বাভাবিকভাবেই তিনি পুলিশ প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করাবেন প্রকৃত মালিককে দিয়ে এবং ঘটনার বিবরণ হিসেবে তিনি পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছেন গোটা ঘটনাটি। তবে এক্ষেত্রে গ্যারেজ মালিক এর দিকেই আঙ্গুল তুলেছেন তিনি।
Mainak Debnath