সব থেকে কম খরচে বকখালি আসতে হলে আপনাকে শিয়ালদহ থেকে ট্রেনে করে নামখানাতে আসতে হবে ভাড়া মাত্র ২৫ টাকা সময় লাগবে ৩ ঘন্টা। এরপর নামখানা থেকে বাসে করে সোজা বকখালি ভাড়া মাত্র ৩০ টাকা সময় লাগবে সময় লাগবে প্রায় ৪৫ মিনিট। ট্রেনে করে না আসতে চাইলে, আপনি ধর্মতলা থেকে সোজা বাসে আসতে পারেন। সেক্ষেত্রে সময় ও খরচ অনেকটাই বেশি লাগবে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ মাও আতঙ্কে পর্যটকরা ঢুকতে পারতেন না, ছন্দে ফিরছে পাহাড়-জঙ্গলে ঘেরা পুরুলিয়ার 'এই' লুকনো রত্ন
বকখালিতে আসলে আপনি উপভোগ করতে পারবেন বঙ্গোপসাগরের দিগন্ত বিস্তৃত জলরাশি ও খোলা সমুদ্র সৈকত। এখানে সমুদ্র অনেকটাই শান্ত। বর্তমানে বকখালি সি বিচে পর্যটকদের জন্য একটি সেলফি পয়েন্ট করা হয়েছে। যা বকখালির সৌন্দর্যকে আরও বৃদ্ধি করেছে।
বকখালিতে থাকা খাওয়ার জন্য আপনি একাধিক হোটেল পেতে পারেন। ৩০০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০০০ টাকা আপনার সাধ্যের মধ্যেই আপনি এখানে হোটেল পেয়ে যাবেন। পর্যটকদের জন্য বকখালি হল পকেট ফ্রেন্ডলি পর্যটনকেন্দ্র। বর্তমানে বকখালিতে পর্যটকরা যাতে সমুদ্রে তলিয়ে না যায়। সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বদা পর্যটকদের সতর্ক করা হয়। এতে বিপদের সম্ভবনা অনেকটাই কমে।
আরও পড়ুনঃ মালভূমির মাটিতে সুন্দরবন! পর্যটন মানচিত্রে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পুরুলিয়ার নয়া এই ডেস্টিনেশন
বকখালিতে আসার পর আপনি আশেপাশের বেশ কয়েকটি জায়গা ঘুরে দেখতে পারেন। হেনরি আইল্যান্ড ও ফ্রেজারগঞ্জের বায়ুকল ও বেনফিশ সহ একাধিক জায়গা ঘুরে দেখতে পারেন। অথবা সকালে যাওয়ার পর বিকালে ফিরে আসতে পারেন।
সুতরাং এ বার ১ জানুয়ারি একদিনের জন্য হলেও ঘুরে আসুন বকখালি। স্বল্প বাজেটের এই ঘোরার জায়গা আপনাকে মুগ্ধ করবেই। তবে বকখালিতে এলে এখন ডিয়ার পার্ক দেখতে পাবেন না। যা নিয়ে কিছুটা হলেও অখুশি স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তারা জানিয়েছেন অনেকেই বকখালিতে এসে ডিয়ার পার্ক দেখতে চান। কিন্তু দেখতে না পেয়ে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে যান। তবে ডিয়ার পার্ক না দেখতে পেলেও খোলা সমুদ্র সৈকত সেই অভাব পূরণ করবেই।
নবাব মল্লিক