সেই আলোচনাসভায় উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন বিশেষজ্ঞ ও সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদের সদস্য সুভাষ আচার্য, বিশিষ্ট বিজ্ঞানী অন্বেষা ভট্টাচার্য-সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তি। সেই আলোচনা সভায় এই ভয়ঙ্কর বিপদের কথা তুলে ধরেন তাঁরা। ডায়মন্ডহারবারে অবজারভেটরি থাকায় সেখান থেকে এই পরিসংখ্যান এসেছে। কিন্তু এর থেকে আরও বেশি জলের স্তর বাড়ছে সুন্দরবনের নীচের দিকে থাকা দ্বীপগুলিতে। ফলে সেখানে বিপদের সম্ভাবনা আরও বেশি।
advertisement
আরও পড়ুন: মাধ্যমিক দিতে যাচ্ছিলেন বাইকে চেপে, ভয়ানক দুর্ঘটনার কবলে কিশোরী! রক্তে ভিজে স্কুলের পোশাক
আরও পড়ুন: আর লাউডস্পিকারে হবে না ঘোষণা, বিখ্যাত এই রেলস্টেশন হয়ে গেল 'নিঃস্তব্ধ'! চমকে উঠবেন
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওসানোগ্রাফি স্টাডিজের সমীক্ষা অনুযায়ী সুন্দরবনের কোনও কোনও জায়গায় জলস্তর বৃদ্ধির হার ৮ মিলিমিটারেরও বেশি। এই বৃদ্ধির হার যদি ২.৫ সেমিতে পৌঁছে যায় তাহলে জলের তলায় চলে যেতে পারে সুন্দরবনের একাধিক দ্বীপ।
ব্রজবল্লভপুর, রাক্ষসখালি, জিপ্লট, ঘোড়ামারা, সাগর, মৌসুনী-সহ একাধিক দ্বীপ জলমগ্ন হয়ে যাবে এর ফলে। সেই জল আর নামবে না ভবিষ্যতে। ফলে ঘরছাড়া হয়ে পড়বেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। জলবায়ু পরিবর্তনের এই প্রভাব যদি রোধ করা না যায় তাহলে আগামীতে ভয়াবহ দিনের সম্মুখীন হতে চলেছে সুন্দরবন, এমনই আশঙ্কা তাঁদের।
নবাব মল্লিক