পুলিশ ও প্রতিবেশীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, মীনা দেবনাথকে বুধবার তারা দেখেছেন। তারপর আর তার সঙ্গে কারও দেখা হয়নি। সেই দিন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ব্যাপক ঝামেলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রতিবেশী এক গৃহবধুর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন অশোক দেবনাথ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ব্যাপক ঝামেলা হয়। তারপর আর মীনার কোনও হদিস পাওয়া যায়নি। ভোররাতে বাড়ির পিছনে জঙ্গলের মধ্যে মীনা দেবীর দেহ পড়েছিল। প্রতিবেশী একজনকে ডেকে নিয়ে গিয়ে সেটি দেখান। খবর দেওয়া হয় সোনারপুর থানায়। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে।
advertisement
আরও পড়ুন: বাড়িতে সিবিআই, পুকুরে মোবাইল ফেলে দিলেন তৃণমূল বিধায়ক! বড়ঞায় বিরাট নাটক
আরও পড়ুনঃ নববর্ষের সকালে তৃণমূল নেতা-নেত্রীর মুখে এ কেমন কথা! তোলপাড় বাংলা, ব্যাপক চর্চা শুরু
ঘটনায় মীনা দেবীর দাদা নিত্যগোপাল দেবনাথ সোনারপুর থানায় অশোক দেবনাথের বিরুদ্ধে খুনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর বক্তব্য প্রায়ই মারধর করা হত বোনকে। তাঁদের সঙ্গেও মীনা দেবীকে সম্পর্ক রাখতে দিত না বলে অভিযোগ। সোনারপুর থানার পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলে অশোকের বয়ানে অসঙ্গতি পায়। শেষ পর্যন্ত পুলিশের কাছে স্ত্রীকে খুনের কথা স্বীকার করে অভিযুক্ত।
অর্পন মন্ডল