প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২৯ শে মার্চ সন্ধেবেলায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতার সহরারহাটের রিত্বিকা সুইটস এর মালিক কার্তিক ঘোষকে দোকানে ঢুকে খুন করে দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনার পর মোট ১১ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এদের মধ্যে দুজন ফেরার থাকলেও ৯ জনকে গ্রেফতার করে ফলতা থানার পুলিশ। এরই মাঝে জেল হেফাজতে থাকা অবস্থায় এক বন্দির মৃত্যু হয়।সোমবার ডায়মন্ড হারবার এডিজে আদালতে অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক। মঙ্গলবার সেই মামলার রায়ে অভিযুক্ত রাজা খানকে ১৪ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক জয়প্রকাশ সিংহ।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে কথা বলবেন না,’ কাকে ইঙ্গিত করলেন অভিষেক
অন্যদিকে বাকি ৭ অভিযুক্ত মজফফর মিস্ত্রী,উত্তম দোলুই,সবেদ আলি সেখ, সাহাজাদা পাইক,আক্তার উদ্দিন মোল্লা,কাদের সেখ, সাইদুল সেখকে আজীবন কারাদন্ডের নির্দেশ দেন বিচারক। অবশ্য নিজের বাবার খুনিদের সাজা ঘোষণার পর নিহত কার্তিক ঘোষের মেয়ে জানান, তাঁর মৃত বাবা বিচার পেল না ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রাজা খানের মাত্র ১৪ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে।
আগামী দিনে মূল অভিযুক্ত রাজা খানের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী জানিয়ে উচ্চ আদালতে যাবেন তারা।অপরদিকে সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের আইনজীবী সুদীপ চক্রবর্তী বলেন, তার মক্কেলদেরকে ফাঁসানো হয়েছে এডিজি আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উচ্চ আদালতে যাবেন তারা।
অবশ্য এই ঘটনায় সরকারি আইনজীবী স্বপনকুমার কপাট বলেন, ২০১৪ থেকে কার্তিক ঘোষ খুনের মামলা চলছিল এই মামলায় মোট ৩৫ জন সাক্ষী ছিলেন। সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখার পর বিচারক মঙ্গলবার সাজা ঘোষণা করেন। সাজা ঘোষণার পর সরকারি আইনজীবী পুলিশের সহযোগিতা ও বিচার ব্যবস্থাকে ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: সোনা রুপো নয়, সীমান্তে পাচার করা হচ্ছে জ্যান্ত এই সব প্রাণীদের! জানলে আঁতকে উঠবেন
তবে এ ঘটনায় পুলিশ আধিকারিক মিতুন কুমার দে বলেন, নৃশংস খুনের ঘটনা ঘটেছিল ২০১৪ সালে এই ঘটনার ইনভেস্টিগেশন অফিসার ছিলেন সুদীপ সিং। অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পুলিশ তদন্ত করে এবং আজকের আদালত এই মামলায় অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করে ১জনকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড ঘোষণার পাশাপাশি বাকি ৭ জনের আজীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন।
অনীশ উদ্দিন মোল্লা