আরও পড়ুন: রাতে একসঙ্গে খেতে বসেছিল সবাই, হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল মাটির দেওয়াল! নিমেষে শেষ
এই প্রসঙ্গে গুড়গুড়িয়া ভুবনেশ্বরী পঞ্চায়েতের প্রধান বাবলু প্রধান বলেন, সত্যি খুব খারাপ অবস্থা। আমরা স্বাস্থ্য বিভাগের সব জায়গায় জানিয়েছি। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। আর কুলতলির বিধায়ক বলেন, স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি নতুনভাবে সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপর গুড়গুড়িয়া-ভুবনেশ্বরী পঞ্চায়েতের মানুষ নির্ভরশীল। তবে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দশাও একেবারে শোচনীয়। ঘরের ছাদ থেকে জল পড়ে। দেওয়ালে ফাটল ধরেছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ১০টি শয্যা আছে। তার অবস্থা ও খারাপ। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ঢোকার রাস্তার দু’পাশ জঙ্গলে পরিপূর্ণ হয়ে গিয়েছে। ঘাস, আগাছায় – রাস্তাটুকু ঢেকে গিয়েছে। একজন ফার্মাসিস্ট, একজন নার্স, একজন চিকিৎসক আছেন এখানে।
advertisement
আরও পড়ুন: মর্মান্তিক! রিলস বানাতে গিয়ে জলে ঝাঁপ, ঘটে গেল বিরাট অঘটন, নাবালকের নির্মম পরিণতি!
ভুক্তভোগী রোগীরা বলেন, খুব খারাপ অবস্থা কয়েক বছর ধরে চলছে। সাপের ভয়ে অনেকে এখানে আসতে পারেন না। পঞ্চায়েত থেকে পরিষ্কারও করে দেয় না। এখানে ঠিকমতো চিকিৎসা পাওয়া যায় না, পাওয়া যায় না ওষুধও। গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র যে কোনও দিন ভেঙে পড়বে। সপ্তাহে সোমবার থেকে বুধবার একজন চিকিৎসকের আসার কথা। তাও ঠিকমতো তিনি আসেন না। বাকি দিন পরিষেবা দেয় ফার্মাসিস্ট ও নার্স। তারপরে নার্স না এলে ফার্মাসিস্ট দুপুর ১২টা পর্যন্ত থেকে চলে যান। রোগের বাড়াবাড়ি হলে গাড়ি ভাড়া করে সাধারণ মানুষকে ৩৫’ কিলোমিটার দূরে যেতে হয়। অবিলম্বে প্রশাসনের এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
সুমন সাহা