সুন্দরবনের মানুষ যাতে আর মাটির তলা থেকে জল না তোলে সেই কারণেই ফলতা-মথুরাপুর জলপ্রকল্পের সূচনা করা হয়েছে। কিন্তু সেই প্রকল্প শেষ হওয়ার আগেই সুন্দরবনের বিভিন্ন জায়গায় হঠাৎই রাস্তা বসে যেতে শুরু করায় উঠছে প্রশ্ন। মাস দু'য়েক আগে কুলপির চণ্ডিপুরে হঠাৎ অনেকটা রাস্তা বসে যায়। স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ব্যাপারটি খতিয়ে দেখার জন্য ইঞ্জিনিয়ার পাঠানো হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: শিলিগুড়িরতে আতঙ্ক ছাড়ানো চিতাবাঘ অবশেষে ধরা দিল ফাঁদে
এর ঠিক পরের মাসে সাগরের রাস্তায় একই পরিস্থিতি তৈরি হয়। উভয় ক্ষেত্রেই স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইঞ্জিনিয়ার পাঠিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হয়েছে। এবার পাথরপ্রতিমার পূর্ণচন্দ্রপুর শ্রীনারায়ণপুরের ছয়ের ঘেরিতে রাস্তা বসে গেল। সবকটি ঘটনার ক্ষেত্রেই একইভাবে হঠাৎ কোনও কারণ ছাড়াই অনেকটা যায়গা জুড়ে রাস্তা বসে যাচ্ছে মাটিতে। মানুষজন এর ফলে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। যে কোনও দিন ঘর বসে যাওয়ার মত আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
এ নিয়ে পূর্ণচন্দ্রপুর শ্রীনারায়ণপুর অঞ্চলের প্রধান বনবিহারী পাত্র জানিয়েছেন, রাস্তার পাশে জল নিকাশীর খাল ছিল। সেখান থেকে জল তুলে নেওয়ায় হয়ত এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে এই ঘটনার পর এলাকায় জলের সঙ্কটও দেখা দিয়েছে। ঘটনাটি ঠিক কী ঘটেছে তা খতিয়ে দেখার আশ্বাসও তিনি দিয়েছেন। তবু আতঙ্ক যাচ্ছে না সুন্দরবনের মানুষের মন থেকে।
নবাব মল্লিক