কালীপুজোর দিন এই মন্দিরে হাজার হাজার দর্শনার্থী ভিড় জমান। এই মন্দির কুব্জিকা তন্ত্র অনুযায়ী ৪২ টি শক্তিপিঠের ১ টি শক্তিপিঠ। কথিত আছে এখানে সতীর ছাতি বা ছত্র পড়েছিল, সেজন্য এই এলাকার নাম ছত্রভোগ। আগে ত্রিপুরার রীতি মেনে এই মন্দিরে পুজো হত। এই মন্দিরের আরও একটি বৈশিষ্ট্য হল এই মন্দিরে ত্রিপুরাসুন্দরী কালীর সঙ্গে শিব নেই। শিব থাকেন বড়াশিতে।ধর্মীয় রীতি বাদ দিলে এই মন্দিরের ঐতিহাসিক গুরুত্ব অনেক। ত্রিপুরা রাজ্যের সর্বপ্রাচীন গ্রন্থ রাজমালাতে এই মন্দিরের উল্লেখ আছে। পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী রাজা যজাতির পুত্র দুহ্য শাপভ্রষ্ট হওয়ার পর শাপমুক্তির লক্ষ্যে কপিলমুনির আশ্রমে এসেছিলেন। তাঁরই বংশধর পতদ্রুন কিরাত এই এলাকায় ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। পরে তাঁর বংশধররা ত্রিপুরায় চলে যান।
advertisement
কথিত আছে মহাপ্রভু চৈতন্যদেব নীলাচলে যাওয়ার সময় কয়েকদিন ছত্রভোগে এসেছিলেন। প্রাচীন এই মন্দিরটি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে একাধিকবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই মন্দির সুন্দরবনের সুপ্রাচীন ইতিহাস বয়ে নিয়ে চলেছে আজও। এই মন্দিরের প্রাচীন ইতিহাস জানতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মন্দির সংলগ্ন এলাকায় খনন কাজ চালানো হয়। সেখান থেকে বহু প্রাচীন মূর্তি ও প্রত্নতাত্ত্বিক সামগ্রী সহ একাধিক প্রত্নবস্তু উদ্ধার হয়েছিল। বর্তমান মন্দিরের তলায় প্রাচীন মন্দিরের অবশিষ্টাংশ এখনও রয়েছে বলে মত প্রত্নতাত্ত্বিকদের।
নবাব মল্লিক