তাই পরিবেশ বাঁচাতে হলে, প্লাস্টিকের জিনিসপত্র সরিয়ে রেখে মাটির তৈরি জিনিসপত্র ব্যবহার বাড়াতে হবে আর এতে পরিবেশ বাঁচবে আর পরিবেশ বাঁচলেই মানুষ বাঁচবে। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা বিভিন্ন বাজারে খেয়াল করলেই দেখা যাবে বিভিন্ন রকমের মাটির কলসি বিক্রি হতে দেখা যাবে।
আরও পড়ুন: সবুজ গাছের ওপরে সাদা সারসের মেলা! সেজে উঠেছে প্রকৃতি
advertisement
যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে মাটির কলসিতে জল খেলে শরীরের রোগ জীবাণু দূর করার শুধু নয় তার সঙ্গে প্লাস্টিকের বোতলকে পরিত্যাগ করে মাটি কলসিতে যদি জল খাওয়া যায় পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা পাবে। সাধারণত এই মাটির কলসি কুমোর পাড়াতেই পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: প্রায় ৩০০ বছরের কোচবিহারের রাজ আমলের পুজো! এখন গোটা এলাকার বড় উৎসব
তবে মাটির কলসি উপুড় করে জল ঢালতে হবে না। জারের মুখেই লাগানো আছে ট্যাপ কল। সহজেই ঠান্ডা জল বেরিয়ে আসবে। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বিভিন্ন এলাকার মধ্যে জয়নগর কুমোর পাড়ায় এই কলসি হু হু করে বিক্রি হচ্ছে। বিক্রির চাহিদা এতটাই জোগান দিতেই হিমশিম খাচ্ছে কুমোর পরিবারের লোকজন।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার জয়নগর এক নম্বর ব্লকে গৌরহাট কুমোর পাড়ায় প্রায় ২০০ পরিবার এই পেশার সঙ্গে জড়িত। ঘরে ঘরে তৈরি হয় মাটির নানা জিনিস। পরিবেশকে রক্ষা করতে প্লাস্টিক কে দূরে রেখে মাটির জিনিসের ব্যবহার বাড়ালে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা পাবে একই সঙ্গে বাংলার কুটীর শিল্প বেঁচে থাকবে।
সুমন সাহা