এদিন কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে জয়নগর ১ নং বিডিও সত্যজিৎ বিশ্বাস ও জয়নগর থানার এস আই পিনাকি দাসের নেতৃত্বে পুলিশের বিশাল বাহিনীর উপস্থিতিতে বৃহস্পতি হালদার নামে জনৈক এক বয়স্কা মহিলার বাড়ির দখলদারি উচ্ছেদ করে মথুরাপুর নিবাসী মায়ারানি মিস্ত্রির হাতে তুলে দেওয়া হল। অভিযুক্ত দখলকার বৃহস্পতি হালদার বলেন, 'দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে আমি এখানে আছি। বটু মিস্ত্রি নামে এক ব্যক্তি মাএ ১৫ টাকা মাসিক ভাড়ার বিনিময়ে আমাকে এই বাড়িতে জায়গা দেন। তার পরে উনি মারা যাওয়ার কয়েক বছর পর থেকে ওঁর পরিবারের তরফ থেকে আমাকে তুলে দিতে ক্রমাগত চাপ দিচ্ছিল।'
advertisement
আরও পড়ুন: ৪০ ডিগ্রি ছুঁইছুঁই পারদ, প্যাচপ্যাচে গরম ও তাপপ্রবাহের সর্তকতা জারি জেলায়!
বৃহস্পতি হালদারের আরও দাবি, 'আমি লোকের বাড়িতে ঠিকা কাজ করে কোনও রকমে সংসার চালাই। আমার তিন ছেলে অন্য জায়গায় থাকে। আমি এখানে একা থাকি। বার বার অনুরোধ করার পরেও আইনের মধ্যে দিয়ে আমাকে বাড়ি ছাড়া করল। আমি এখন কোথায় থাকব। আমাকে রাস্তায় কাটাতে হবে। আমার মতো গরিব মানুষের পাশে কেউ নেই।'
আরও পড়ুন: স্কুলের পিছনে ওটা কী? সামনে যেতেই হাড়হিম দৃশ্য! রক্তাক্ত রহস্য
আর দখলমুক্ত করে মথুরাপুর নিবাসী মায়রানি মিস্ত্রি বলেন, 'দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে আইনি লড়াই করে শেষ পর্যন্ত আমি আমার স্বামীর ভিটে উদ্ধার করতে পারলাম। স্বামী তখন ভাল ভেবে অল্প টাকার বিনিময়ে থাকার জায়গা করে দিয়েছিল। কিন্তু স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে ওই মহিলা ভাড়া দেওয়া তো দূরে থাক ঘরের দখল নিয়ে নিয়েছিল। তাই আইনি পথে আমি দখল মুক্ত করলাম। এর জন্য পুলিশ প্রশাসন ও আদালতকে ধন্যবাদ জানাই।'
সুমন সাহা