বিয়ের পর থেকেই নানা অজুহাতে টাকা আনতে বাপের বাড়ি আসতেন পুতুল। সামর্থ্য মত টাকা দিতেন বাপের বাড়ির লোকজন। না আনতে পারলে তাঁকে চাপ দেওয়া হত নানান ভাবে। এমনটাই অভিযোগ। মিলন সর্দার পেশায় দিন মজুর। মাঝে মধ্যেই কাজে না থাকলেই বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনতে বলতেন মিলন।
কয়েক দিন আগেও বাপের বাড়ি থেকে টাকা চেয়ে ফোন করেছিলেন পুতুল। টাকা না থাকায় খালি হাতে ফিরে যায় পুতুল। ফেরার পথেকেই আশান্তি শুরু হয় মিলনে সঙ্গে। পরে প্রতিবেশীর ফোনে শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে জানানো হয়, পুতুল আত্মঘাতী হয়েছেন। বিষ্ণুপুর থানায় এসে দেখেন ভ্যানে রয়েছে পুতুলের নিথর দেহ। পরিবারের লোকজন জানানো হয় গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন পুতুল।
advertisement
আরও পড়ুন, মর্মান্তিক! ১৭ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল পিতা ও ভাইয়ের উপর
আরও পড়ুন, অতীতের বন্ধু এখন আদায়-কাঁচকলায়! তাপস-কুন্তল পাশাপাশি থেকেও আদালতে কথা বললেন না
মিঠুর অভিযোগ, তাঁর বোনকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বাকি সদ্যস্যদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মৃতার ভাই। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হয় স্বামী মিলন সর্দার ও শাশুড়ি পূর্নিমা সর্দারকে। ধৃত দু জনকেই এদিন আলিপুর আদালতে পেশ করে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
অর্পন মন্ডল