তারপরে ফোনে এসএমএস দেখে চোখ ছানাবড়া রজতবাবুর। তিনি দেখেন অ্যাকাউন্ট থেকে ৫ হাজার টাকা গায়েব। মাথায় হাত রজতবাবুর। তড়িঘড়ি ছুটলেন বারুইপুর উকিল পাড়ার গ্যাস অফিসে। গ্যাস অফিসের কর্মীদের পরামর্শে তিনি থানায় যান। বারুইপুর থানায় নতুবা বারুইপুর পুলিস জেলার সাইবার অফিসে গিয়ে অভিযোগ করতে উপদেশ দেন গ্যাস অফিসের কর্মীরা।
advertisement
শুধু রজতবাবু একা নন, গৃহবধু অঞ্জু ঘোষ, রানী হালদার, প্রবীন মনোরঞ্জন বিশ্বাস সবাই এইভাবেই প্রতারিত হয়ে গ্যাস অফিসের দ্বারস্থ হয়েছেন। কারুর খোয়া গিয়েছে ৫ হাজার টাকা, কারুর বা নগদ ৩ হাজার টাকা। গ্যাস অফিস সূত্রে খবর, শুধু বারুইপুর নয়, সোনারপুর, জয়নগরেও এমনভাবেই মানুষ সাইবার প্রতারনার খপ্পড়ে পড়ছেন। অনেকেই স্থানীয় গ্যাস অফিসের দ্বারস্থ হচ্ছেন।
আরও পড়ুন, বাড়বে বিপত্তি! সাজা বহাল থাকলে পরবর্তী লোকসভা নির্বাচনে রাহুলের বয়স হবে ৬৩
আরও পড়ুন, দুয়ারে সরকার নিয়ে বিকেলে উচ্চপর্যায়ের জরুরি বৈঠক মুখ্যসচিবের, বাড়ছে জল্পনা
বারুইপুর গ্যাস অফিসের ম্যানেজার বীরেন্দ্র কুমার তেওয়ারি বলেন, "গত দুই মাস ধরেই এমন অভিযোগ নিয়েই প্রতারিত মানুষজন অফিসে আসছেন। শুধু ইন্ডিয়ান ওয়েল অফিস কেন বারুইপুর, সোনারপুর, জয়নগর কোনও গ্যাস অফিস থেকে ফোন করা হচ্ছে না গ্রাহকদের। প্রতারিত গ্রাহকদের থানায় ও সাইবার থানায় অভিযোগ জানাতে বলা হচ্ছে। এতে কোনও বড় চক্র জড়িত আছে বলে অনুমান। মানুষকে আরও সচেতন হতে হবে।"
সুমন সাহা