মন্দির প্রতিষ্ঠার সঙ্গে যুক্ত ভট্টাচার্য পরিবারের বারুইপুরে আগমন বাইরে থেকে। এর ইতিহাস আলোচনা করলে দেখা যায়, ১৩০০ বঙ্গাব্দ নাগাদ বারুইপুর অঞ্চলের জমিদার রমেন্দ্র রায় চৌধুরী তাঁদের বংশের কুলদেবতার সেবার জন্য কয়েকজনকে নিয়ে আসেন।
তাঁদের বসতি পরবর্তীকালে পরিচিতি পায় ‘ভট্টাচার্যপাড়া’ নামে। পরবর্তী কালে ভট্টাচার্যবাড়ির সন্তান অক্ষয় কুমার ভট্টাচার্য ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে নির্মাণ করেন ‘অক্ষয়কুঞ্জ’ এবং সেই বাড়িতেই তিনি শুরু করলেন দুর্গাপুজো। এই পুজো আজও নিষ্ঠার সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়।
advertisement
আরও পড়ুন, তৃণমূলের সঙ্গে জোট নিয়ে নিচুতলায় বিভ্রান্তি, ইয়েচুরির সামনেই সরব জেলার নেতারা
আরও পড়ুন, বড় খবর! ৯৪ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বিশাল ঘোষণা
দেবী বিগ্রহটি সম্পূর্ণ নিমকাঠের তৈরি এবং উচ্চতা প্রায় চার ফুট। বিগ্রহটি তৈরি করেন বারুইপুরের স্থানীয় শিল্পী। তিনি বিগ্রহটি তৈরি করে মাকে মাথায় করে নিয়ে আসেন। আগে যে স্থানে দুর্গাপুজো হত সেখানেই দেবীর মন্দির তৈরি করেন দুর্গাদাস ভট্টাচার্য। ১৯৬৬ সালের কালীপুজোর দিন প্রতিষ্ঠিত হন মা শিবানী। এই দেবীকে প্রতিষ্ঠা করেন দুর্গাদাস ভট্টাচার্য।
দেবীকে নিত্য আমিষ ভোগই নিবেদন করা হয় বলে জানালেন শুদ্ধস্বত্ত্ব ভট্টাচার্য। ভোগে থাকে সাদাভাত, ভাজা, তরকারি, মাছ, চাটনি, পায়েস ইত্যাদি। অতীতে প্রতীকী বলিদান হলেও এখন সেই প্রথা বন্ধ। এই পীঠস্থানে কালীবিগ্রহ ছাড়া পারিবারিক নারায়ণ, গোপাল আরও দু’টি শিবমন্দির রয়েছে কেদারনাথ ও বিশ্বনাথ নামে।
সুমন সাহা