কয়েক বছর আগে সুন্দরবনের নদী পার হয়ে বৈদ্যুতিক পোল ঢুকেছিল গ্রামে, কিন্তু আম্ফান ঝড়ের সব বৈদ্যুতিক পোল ভেঙে যাওযায় নিভে যায় ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছনোর আশা। অভিযোগ, এই ব্যাপারে পঞ্চায়েত, ব্লক অফিস, বিদ্যুৎ দফতর, বিধায়ক সব স্তরে অভিযোগ জানানো হয়েছে, কিন্তু কোনও কাজ হয়নি।
আরও পড়ুন: বড়দিনের আগেই জাঁকিয়ে শীত উত্তরবঙ্গে, কুয়াশায় ঢেকেছে কোচবিহার
advertisement
এমনকী ভোটের সময় নেতারা গ্রামে এসে বিদ্যুৎ আসার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা রক্ষা হয়ন। গ্রামে প্রায় ২৭৫ পরিবারের বাস, তাঁরাও ভোট দিয়ে গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা করে, কিন্তু তাঁরা বঞ্চিত বিদ্যুৎ পরিষেবা থেকে, অনেক বাসিন্দা এই নরকযন্ত্রনা বছরভর সহ্য করে সৌরবিদ্যুৎ লাগিয়েছেন নিজেদের পয়সায়। গ্রামে কবে বিদ্যুৎ আসবে প্রশ্ন তুলেছেন ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: জ্বর-অ্যালার্জি থেকে ক্যানসার, ১২৯টি ওষুধের দাম কমছে জানুয়ারিতে
যদিও কুলতলির বিধায়ক গণেশ মন্ডল আশ্বাস দিয়ে জানান, এই বিচ্ছিন্ন দ্বীপে আবার সার্ভে করে কাজ শুরু হয়েছে, গত কয়েক বছর ধরে সুন্দরবনের যে ভাবে আয়লা-আম্ফানের মতো বিধ্বংসী ঝড়ে তছনছ হয়ে গেছিল সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ গ্রাম। তার মধ্যে এই ময়রাচক গ্রামের বিদ্যুতিক পোল বসিয়ে তারও টেনে দেওয়া হয়েছিল। কিছুদিনের মধ্যে বিদ্যুৎ দেওয়ার কথা ছিল। বিভিন্ন ঝড়ের কারণে থমকে গিয়েছিল এই বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ। আশা করা যায় ১৫ দিনের মধ্যে ওই এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছবে।
সুমন সাহা