সেসময় বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী তরুণ সৌম্যদীপ্ত বসু তাঁর নিজের গ্রাম কুলপির দেরিয়াতে অবস্থান করছিলেন। গ্রামে থাকার সময় তিনি বুঝতে পারেন, গ্রামে এখনও পড়াশোনার পরিকাঠামোগত সমস্যা রয়েছে। সেই সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে তাঁর নিজের গ্রামেই খুলে ফেলেন 'বোধিপীঠ লাইব্রেরি'।
উদ্দেশ্য প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলেরা এই লাইব্রেরি থেকে বিনামূল্যে বই সংগ্রহ করবে এবং পড়াশোনা করবে। এই কাজে এগিয়ে আসে অনেকেই। এরপর পরিকল্পনা নেওয়া হয় গোটা গ্রামকেই বানানো হবে লাইব্রেরি। প্রত্যেক বাড়িতে থাকবে আলমারি। সেখানে থাকবে একাধিক বই। নতুন পুরোনো সব মিলিয়ে গোটা গ্রাম হবে আস্ত পাঠাগার। তার এই পরিকল্পনা অনেকের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে।
advertisement
বর্তমানে ওই তরুণ কর্মসূত্রে গ্রামের বাইরে থাকেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে গ্রামবাসীরা নিজেরাই চালিয়ে যাচ্ছেন এই মহান যজ্ঞ। বর্তমানে একটি পাঠশালা ও খোলা হয়েছে সেখানে। সেই পাঠশায় বিনামূল্যে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ানো হয়, সেই সঙ্গে নাচ, গান, অঙ্কন প্রশিক্ষণ, ক্যারাটে, যোগব্যায়াম প্রশিক্ষণ ও দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বকখালি থেকে বসিরহাট! পুলিশের সহযোগিতায় ঘরে ফিরল 'ভবঘুরে'
এভাবে গ্রামের মধ্যে একটি অন্য পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় খুশি গ্রামবাসীরা। নিজের ছেলের এই কর্মযজ্ঞে সামিল হয়েছেন তাঁর বাবা শুভেন্দু বসুও। তিনি নিজে এখন অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের সঙ্গে এই পাঠশালায় পাঠদান করেন। গ্রামে এমন একটি লাইব্রেরি ও পাঠশালা তৈরি হওয়ায় খুশি তিনিও।
নবাব মল্লিক