সুন্দরবনের জঙ্গল পরিস্কার করার সময় ১৮৬৮ সালে প্রথম জঙ্গলের মধ্য থেকে আবিষ্কৃত হয় এই জটার দেউল। এটি একটি জগমোহন বিশিষ্ট রেক দেউল। এই দেউল আবিষ্কারের পর থেকে এই দেউল কখন কীভাবে তৈরি করা হয় তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয় ইতিহাসবিদ ও প্রত্নত্বাত্বিকদের মধ্যে। অনেকে মনে করেন এই দেউল আনুমানিক ৯৭৫ খ্রীস্টাব্দে রাজা জয়ন্তচন্দ্র নির্মাণ করেন। তবে তা নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। জটার মন্দির হিন্দু মন্দির না বৌদ্ধ মন্দির তা নিয়েও রয়েছে বিতর্ক। তবে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে এই মন্দির ক্ষতিগ্রস্ত হলে দ্বাদশ শতাব্দী নাগাদ এই মন্দিরের সংস্কার করেন রাজা লহর চন্দ্র। তিনি ছিলেন শৈব। ফলে মন্দিরে শুরু হয় শিবপূজা।
advertisement
মন্দিরের ঠিকানা : পূর্বজটা, কনকনদিঘী (রায়দিঘী), পিন - ৭৪৩৩৮৩
লোকেশন :
২০১১ সালে ভারতীয় পুরাতত্ব সর্বেক্ষণের তরফে মন্দির চত্বরে শুরু হয় খননকাজ। এরপর মাটির নীচ থেকে আবিষ্কার হয় কিছু ইটের কাঠামো। আবিষ্কার হয় কিছু পর্তুগিজ মুদ্রা, হাতির দাঁত সহ বেশ কিছু প্রত্নতাত্ত্বিক সামগ্রী। সেই থেকে অনেক ইতিহাসবিদ মনে করেন পর্তুগিজ জলদস্যুরা এটি টাওয়ার হিসাবে ব্যবহার করত।
আরও পড়ুন: সুইমিংপুলে নগ্ন পুরুষ! খোলা শরীরে দাঁড়িয়ে পুনম পাণ্ডে! তবে কী নীল ছবির শ্যুট? ভাইরাল ভিডিও
তবে বিতর্ক যাই থাক সুন্দরবনের হাজার বছরের ঐতিহ্য বহণকারী এই দেউলকে এবার রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে স্থান করে দেওয়ার প্রয়াস শুরু হয়েছে। রায়দিঘীর বিধায়ক ড: অলক জলদাতা এই মন্দিরকে ঘিরে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার আশ্বাস দিয়েছেন। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী বেশ কয়েকবছরের মধ্যে এই স্থান পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন মানচিত্রে স্থান পাবে বলে আশাবাদী তিনি। তবে আপনি চাইলে এখনই ঘুরে আসতে পারেন এই প্রাচীন মন্দিরে। স্বাক্ষী থাকতে ইতিহাসের।
নবাব মল্লিক