এই সৌর ল্যাম্প গুলি বন্যপ্রাণীদের সঙ্গে সংঘাত থেকে গ্রামবাসীদের জীবন রক্ষা করবে। বনদফতর এই প্রকল্পটির জন্য কেএসএইচকে দায়িত্ব দিয়েছে। কেএসসিএইচ বা কলকাতা সোসাইটি ফর কালচারাল হেরিটেজ কতৃক এই সোলার স্ট্রিট লাইট স্থাপন করার কাজ শেষ হয়।
আরও পড়ুন : দোল উৎসব উপলক্ষে মায়াপুরে শুরু ইসকন মন্দিরের নগর পরিক্রমা
advertisement
সুন্দরবনের কুলতলি রেঞ্জের ভুবনেশ্বরী, দেবীপুর, মধো গুড়গুড়িয়া, পূর্ব গুরগুরিয়া এবং দেউলবাড়ি, চিটুরির প্রায় ৪১৩৬ টি পরিবার এই রাস্তায় বসানো সৌর আলোর সুবিধা ভোগ করতে পারবে। এই গ্রামগুলো সুন্দরবনের মূল এলাকা সংলগ্ন হওয়ায় অন্ধকারে চলার পথে তারা ঘন ঘন সাপের কামড়ের শিকার হয়ে থাকে, যার ফলে নিয়মিত মৃত্যু বা গুরুতর আহত হয়। কুলতালি রেঞ্জ ডিরেক্টরেট ফরেস্টের, দক্ষিণ ২৪পরগনা বিভাগের অধীনে পড়ে। সেখান থেকে নিকটবর্তী সরকারি হাসপাতাল ৩৬ কিমি দূরে।
এ বিষয়ে ডিএফও মিলন মণ্ডল বলেন, “আমরা সকলেই জানি সুন্দরবন এমন একটি জায়গা, যেখানে প্রাণীজগৎ এবং এখানে বসবাসকারী মানুষ সবসময় সংঘর্ষ লেগেই থাকে। জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলিতে ইট দিয়ে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু এখানে 'বিদ্যুত' একটি বিরল ব্যাপার। সুন্দরবন এলাকায় সাপের কামড় একটি সাধারণ সমস্যা। বিষাক্ত সাপেদের মধ্যে কেউটে স্থানীয় সাপ মানুষদের জন্য প্রধান ভয় এবং ক্ষতির কারণ। সাপের কামড়ের ফলে মৃত্যুর হার ৬৫ শতাংশের বেশি। সঙ্গে রয়েছে গ্রামে বাঘ ঢোকার ভয়ও। তাই এখানে এই উদ্বেগে কমানোরএকমাত্র সমাধান হল সোলার লাইট। গ্রামের প্রধান অংশগুলি চিহ্নিত করে আমরা ২৫টি সোলার স্ট্রিট লাইট স্থাপন করেছি ইতিমধ্যেই। এই প্রকল্পটি করার মাধ্যমে আমরা নবায়নযোগ্য সবুজ শক্তির প্রচারও করেছি এবং কার্বনের মাত্রা কমাতে সক্ষম হচ্ছি প্রতিনিয়ত। এই সোলার লাইটগুলি প্রতি বছর ১৮২.৫ কিলোওয়াট সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে এবং এই স্ট্রিট লাইট বাঘকেও বিভ্রান্ত করতে সাহায্য করবে। আমি এই প্রকল্পের জন্য কেএসসিএইচ-কে ধন্যবাদ জানাই”।