এরপর পরিবারের সদস্যরা দক্ষিণ বারাসাতের বাসিন্দা এলাকার সর্প বিশারদ হিসাবে পরিচিত কলকাতা পুলিশের আধিকারিক সমরেন্দ্রকে খবর দেওয়া হয়। তিনি খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাটরা গ্রামে অর্জুন রুইদাস এর বাড়িতে গিয়ে পৌঁছান। এরপর একটি গর্ত সেখানে দেখতে পায় তারপর বেশ কিছুক্ষণ সেই গর্তে নাড়াচাড়া করলে দু একটা সাপ বেরিয়ে আসে। এরপর গর্তের আরও গভীরে যায় তারপর সেখানে দেখে চক্ষুচড়কগাছ হয়ে যায় ওই সর্প বিশারদের।
advertisement
একটা দুটো নয়, একেবারে গর্ত ভর্তি সাপ তিনি দেখতে পান। এরপর তিনি জীবনের বাজি রেখে একটা একটা করে সাপ উদ্ধার করে একটি জারের মধ্যে রাখেন। এভাবে একটা একটা করে প্রায় ২২ টি সাপ তিনি উদ্ধার করে নিয়ে আসেন তার বাড়িতে এবং তিনি বনদফতরে খবর দেন।
তারপর বনদফতরের আধিকারিকরা এসে ওই সাপগুলি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, “আমি দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে সাপ উদ্ধার করে আসছি। কোনদিন এভাবে একসঙ্গে এতগুলো সাপ দেখেনি। তবে প্রথমে একটু আতঙ্কিত হয়েছিলাম তবে মনের জোর আর সাহসের উপর ভর করে একে একে সাপগুলি উদ্ধার করি।”
আরও পড়ুন, স্মৃতিমেদুর সনিয়া…, ক্ষমতায় এলে ২০২৪-এই চালু হবে মহিলা সংরক্ষণ বিল : কংগ্রেস
আরও পড়ুন, অভিষেকের কাছে ২৪ ঘণ্টা সময় চেয়েছিলেন, মঙ্গলবারই বকেয়া নিয়ে শাহের কাছে বোস?
বর্ষা বাড়তেই সুন্দরবন সংলগ্ন এই জেলায় সাপের উপদ্রব প্রবল হয়। কলকাতার এই পুলিস আধিকারিক দীর্ঘদিন ধরেই দক্ষিন ২৪ পরগনায় গ্রামে গঞ্জে ঘুরে মানুষকে সাপের বিষয়ে সচেতন করার পাশাপাশি বহু সাপ উদ্ধার করেন।
সুমন সাহা