প্রধান শিক্ষক বাসুদেব সর্দার বলেন, ‘এসব একেবারেই উচিত ছিল না। ৮ ই জুলাই, ভোটের দিন সন্ধ্যার পর থেকে এই স্কুলে তাণ্ডব শুরু হয়। এখানে পুনরায় ভোটগ্রহণও হয়েছিল।
আরও পড়ুন ঃ পরকীয়ায় বাধা, নাবালক ছেলেকে খুন করল মা !
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘ভোটের দিন সন্ধ্যায় লাইনে দাঁড়িয়েছিলাম। আচমকা সবাই পালাও পালাও বলে দৌড়োদৌড়ি শুরু করে দেয়। বোমা-গুলিবর্ষণ শুরু হয়। এখনও এলাকায় ছোটখাটো গোলমাল চলছে। ভোটের দিন রাজনৈতিক তাণ্ডবে স্কুল কার্যত ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়েছে। এর মধ্যে অনেকেই বাচ্চাকে সেখানে পাঠাতে চাইছে না।’
advertisement
স্কুলের এক শিক্ষক বলেন, ‘স্কুলের যা অবস্থা হয়েছে, ফিরে তাকানো যায় না। আমাদের মোট পড়ুয়ার সংখ্যা ৩৪৭ হলেও এখন আসছে মাত্র ১০০ জন মতো। এই অবস্থায় সব ক্লাসও ঠিকঠাক করানো যাচ্ছে না।’
আরও পড়ুন ঃ এই চিংড়ি চাষে মিলবে লাখ লাখ টাকা! মিষ্টি জলে এই ভাবে চাষ করুন নোনা জলের চিংড়ি
চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র কাজল ঘোষ বলে, ‘আমাদের বসার বেঞ্চও ভেঙে ফেলা হয়েছে।’ আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন মিড ডে মিলের রাঁধুনি নীলিমা মিস্ত্রিও। তাঁর কথায়, ‘এই গ্রামে আগে কখনও এই ঘটনা ঘটেনি। এখনও স্কুলে আসতে ভয় লাগছে।’
সুমন সাহা