প্রসঙ্গত, বিশ্বের মোট বাঘের ৭০ শতাংশ বাঘ ভারতেই রয়েছে। তবে চোরাশিকারকারী এবং বিশ্বের বিভিন্ন এলাকার প্রত্যন্ত গ্রামে বাঘ মারার প্রবণতা এখনও রয়েছে। সেই প্রবণতা কমাতে এবার বনদফতরের পক্ষ থেকে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হলো। শনিবার দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ঝড়খালি ব্যাঘ্র রেসকিউ সেন্টারে থাকা সোহম, সোহিনী ও সুন্দরের দায়িত্ব নিল এসবিআই এর চিফ জেনারেল ম্যানেজার প্রেম অনুপ সিনহা।
advertisement
আরও পড়ুন ঃ কেন শ্রাবণ মাসে চাহিদা বাড়ছে মাটির ঘটের? জানলে অবাক হবেন
ঝড়খালি রেসকিউ সেন্টারে থাকা এই তিনটি বাঘের লালন-পালনের জন্য ৬ লক্ষ টাকা সাহায্য করলো এসবিআই। এর পাশাপাশি আজ এই দিনটিকে সাড়ম্বরে পালনও করা হল সুন্দরবন এলাকা জুড়ে। এসবিআই এর পক্ষ থেকে বাঘের হামলায় মৃত ব্যক্তিদের পরিবারের হাতে এদিন আর্থিক সাহায্য তুলে দেয়া হয়।
বনদফতর ও রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে সুন্দরবনের বাঘেদের ওপর যে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে, তাতে মনে করাই যেতে পারে যে আগামী দিনে সুন্দরবনের মানুষদেরকে বাঘের আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করা ও মানুষের হাত থেকে বন্যপ্রাণীদের রক্ষা করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিতে চলেছে তারা।
আরও পড়ুন ঃ ছেলেকে নিয়ে চাষ করতে যাওয়াই কাল হল, মর্মান্তিক পরিণতি হল চাষীর!
দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলার বনদফতরের আধিকারিক (ডিএফ ও) মিলন মন্ডল তিনি জানান, “এই বিশেষ দিনে বনদফতর এর পাশে দাঁড়িয়েছে এসবিআই। এসবিআই এর পক্ষ থেকে ঝড়খালি রেসকিউ সেন্টারে যে তিনটি বাঘ রয়েছে সোহম, সোহিনী ও সুন্দর এই তিনটি বাঘের এক বছরের লালন পালনের দায়িত্ব নিল এসবিআই।” এছাড়াও এই বিশেষ দিনে বনদফতরের পাশে দাঁড়িয়েছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
সংগঠনের পক্ষ থেকে জঙ্গলে নজরদারি করার জন্য এই মঞ্চ থেকে একটি ড্রোন দিয়ে বনদফতরকে সাহায্য করলো। এই দিন কয়েকজন গ্রামবাসীকেও বন দফতরের পক্ষ থেকে সম্মানিত করা হয়। গত বছর সুন্দরবনে বাঘের আক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল শূন্য। এবছরও গ্রামবাসী ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহযোগিতায় সেই সংখ্যাটা যেন শূন্য থাকে সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন ঃ সুন্দরবনের নতুন আলো! অভিনব এই উদ্যোগের কথা জানলে আপনারও মন ভরে যাবে
এ বিষয়ে এস বি আই এর চিফ জেনারেল ম্যানেজার প্রেম অনুপ সিনহা বলেন, “রাজ্য সরকারের এই বিশেষ দিনে। রাজ্য সরকারের এই ব্যাঘ্র সংরক্ষণ প্রকল্পের নিজেদেরকে সামিল করতে পেরে আমরা খুব খুশি। এসবিআই এর পক্ষ থেকে তিনটি বাঘকে আমরা এক বছরের জন্য দত্তক নিলাম। বিশ্ব ব্যাঘ্র দিবসে সুন্দরবনে এসে আমরা খুব আনন্দিত।”
সুমন সাহা