এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগণার বারুইপুরের মহকুমা শাসক সুমন পোদ্দার বলেন, “পূর্ত ও সেচদফতরের অফিসারদের সঙ্গে কথা বলা হবে। রাস্তা সংস্কারে ব্যাপারেও জানানো হবে।”
আরও পড়ুনঃ মাছ ভেবে জলে ফেলল জাল, ভারী এ কী উঠে এল, দেখেই চক্ষু চড়কগাছ সকলের
সূর্যপুর সেতুর অবস্থা ভগ্নপ্রায় হওয়ায় সংস্কারের কাজ শুরু করে পূর্তদফতর। গত বছরের শেষে কাজ শুরু হয়। কিন্তু কাজের গতি অত্যধিক কম। কোনও দিন সংস্কারের কাজ হয়, আবার কোনও দিন তা বন্ধ থাকে। কোনও নজরদারি নেই।
advertisement
বাসিন্দারা জানান, খালের পাশে পাইলিংয়ের কাজ চলছে খালের একটি অংশকে ব্লক করে। ফলে জল সেভাবে যেতে পারছে না। যে কোনও সময় টানা, ভারী বৃষ্টি হলে জল বেড়ে গিয়ে বিপদ ঘটতে পারে।
আরও পড়ুনঃ হারিয়ে যাচ্ছে এই পেশা! মাথায় হাত পড়েছে কুটির শিল্পীদের
এই সেতুর পিছনেই যাতায়াতের জন্য নতুন একটি সেতু আছে। কিন্তু সেই সেতুতে যাওয়ার রাস্তার কঙ্কালসার অবস্থা। পিচ, ইট উঠে গিয়ে এবড়ো-খেবড়ো গর্ত হয়ে গিয়েছে। সেই গর্তে জল জমে কদাকার অবস্থা হয়। এই সেতু ধরেই একদিকে যেমন বারুইপুরে আসা যায়, তেমনই জয়নগর চলে যাওয়া যায়।
প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াত এই পথ ধরেই। চলে প্রচুর যানবাহন। দক্ষিণ ২৪ পরগণার সূর্যপুরে রোজ সব্জির হাট বসে। সেই হাটে ব্যবসা করতে আসেন দূরদূরান্তের লোকজন।
ভুক্তভোগী বাসিন্দারা বলেন, সন্ধ্যার পর এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা যায় না। অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে গিয়ে রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। স্কুল পড়ুয়ারাও যেতে গিয়ে হামেশাই পড়ে চোট পায়। এই রাস্তা দিয়েই প্রশাসনের লোকজন যাতায়াত করেন। তাঁরা সব দেখেও নীরব। যে কোনও দিন বড় দুর্ঘটনা ঘটলে তবে টনক নড়বে প্রশাসনের।
সুমন সাহা