শাসক-বিরোধী চাপানউতোরের কারণে প্রায় দেড় দশক ধরে থমকে রয়েছে নামখানার চন্দ্রনগর থেকে বকখালি পর্যন্ত রেল প্রকল্প। এক সময়ে রেল বাজেটে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সুন্দরবন এলাকাতে রেলের মানচিত্রে সংযুক্ত করার কথা ঘোষণা করেছিলেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইমতো ঢাকঢোল পিটিয়ে রায়দিঘিও নামখানায় রেললাইন সম্প্রসারণের ঘোষণা করেছিলেন তিনি তার পর কেটে গিয়েছে প্রায় ১৩ বছর কিন্তু তারপর কাজ আর তেমন হয়নি।
advertisement
সম্প্রতি রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে অবিলম্বে ওই প্রকল্প-সহ জমি জটে থমকে থাকা রাজ্যের প্রকল্পগুলির প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণ করে রেলের হাতে তুলে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।
প্রশাসন সূত্রে খবর ২০০৯-১০ আর্থিক বর্ষে নামখানা থেকে চন্দ্রনগর পর্যন্ত হয়েছিল বরাদ্দ হয়েছিল ৭৮.৯ কোটি টাকা। চন্দ্রনগর থেকে বকখালি পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার লাইন তৈরির জন্য ২০১১ তে বরাদ্দ হয়েছিল ৬১.৮৫ কোটি টাকা। অন্যদিকে শিয়ালদা লক্ষ্মীকান্তপুর শাখার জয়নগর মজিলপুর স্টেশন থেকে রায়দিঘি পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার রেললাইন তৈরির কথা ঘোষণা হয়েছিল।
নামখানা থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে চন্দ্রনগর পর্যন্ত ওই রেল পথের মধ্যে হাতানিয়া দোয়ানিয়া নদী রয়েছে। তার উপরে সেতু হয়েছে পরে। ফলে বকখালি থেকে নামখানা স্টেশনে আসার কিছুটা সুবিধা হয়েছে। এর আগে ওই ব্রিজ না থাকায় মানুষকে নদী পেরোতে হত।
সে সময় ঐ নদীর উপর রেল ব্রিজ নির্মাণের পরিকল্পনা শুরু হয়েছিল। রেললাইনের কাজ দেখবার জন্য তৈরি হয়েছিল অফিস, জমি জরিপ থেকে শুরু করে নদীর উপর রেল সেতুর জন্য মাটি পরীক্ষার কাজ হয়। কিন্তু কিছুদিন পর তা বন্ধ হয়ে যায়। দ্রুত এই এলাকার জমি অধিগ্রহণ করে রেললাইন শুরু করলে এলাকার মানচিত্রে পরিবর্তন আসবে এবং জমিদাতারদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। নতুন করে রেলের কাজ শুরু হলে সাধারণ মানুষজন উপকৃত হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।