আরও পড়ুন: সুন্দরবনে বাল্যবিবাহ ঠেকাতে প্রশাসনের সঙ্গী চাইল্ড লাইন
সম্প্রতি পরিষেবা না পেয়ে এই হাসপাতালে ঢুকে জানালার কাঁচ ও অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর করার অভিযোগ ওঠে রোগীর পরিচন্দের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার পরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। স্থানীয় বাসিন্দাদের, দাবি চিকিৎসকের সংখ্যা কম থাকার জন্যই হাসপাতালে গিয়ে সঠিক পরিষেবা পাচ্ছেন না রোগীরা। যে দু’জন চিকিৎসক আছেন তাঁরা আপ্রাণ চেষ্টা করেও সবটা সামলে উঠতে পারছেন না। এই প্রসঙ্গে ডায়মণ্ডহারবার স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য আধিকারিক জয়ন্ত সুকুলের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন।
advertisement
পুরন্দরপুর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার কৌস্তভ মণ্ডল বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সমস্যার কথা প্রাশাসনের সর্বস্তরে জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। দ্রুত সমস্যার সমাধান হলে ভালো হয়। স্থানীয় মানুষজন এই পরিস্থিতিতে তাঁদের সঙ্গে যথেষ্ট সহযোগিতা করছে বলেও তিনি নিমন্তব্য করেন। এলাকার বাসিন্দারা জানান, ৬ বছর ধরে এই পরিস্থিতি চলছে। এই দীর্ঘ সময় ধরে মাত্র দু’জন চিকিৎসাকই এখানকার সব কিছু সামলাচ্ছেন। পর্যাপ্ত চিকিৎসকের অভাবে প্রতি সপ্তাহে এক একজন চিকিৎসককে ৯৬ ঘণ্টা ডিউটি করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। এর ফলে হাসপাতালে থাকা দু’জন চিকিৎসক পর্যাপ্ত বিশ্রাম পাচ্ছেন না বলেও জানিয়েছেন। অন্তত আর একজন চিকিৎসককে এখানে পাঠানোর আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা।
নবাব মল্লিক