গত কয়েকদিন আগেই সোমনাথের চেম্বারে চিকিৎসা করাতে আসেন এক দম্পতি। তবে তাঁদের কিছুটা সমস্যা হওয়ায় ওই চিকিৎসকের উপর সন্দেহ হয়, ওই দম্পতি সুন্দরবন কোস্টাল থানায় যান। এরপর ওই চিকিৎসক সোমনাথ ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করে সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশ। তবে পুলিশ সূত্রে জানা যায় তিনি তাঁর চিকিৎসা সংক্রান্ত সার্টিফিকেট ঠিকঠাক দেখাতে না পারায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন : শখের ছাদবাগানে বারোমাসি আম! বছরে তিন বার আম হয় এক গাছেই
তাঁকে আলিপুর আদালতে পাঠানো হয় এবং ১০ দিন নিজেদের হেফাজতের নির্দেশ দেয় মহামান্য আদালত। পুলিশ সূত্রে জানা যায় হাওড়ার লিলুয়া থেকে দীর্ঘদিন আগেই সুন্দরবন কোস্টাল থানা এলাকায় একটি চেম্বার খোলেন সোমনাথ ভট্টাচার্য। তবে পুলিশ সূত্রে আরও জানা যায় তিনি গোসাবা থানার আরামপুর গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া বাড়িতেই থাকেন। এছাড়াও এর আগে তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ আসছিল সুন্দরবন কোস্টাল থানায়।
আরও পড়ুন : জেলের অন্ধকার থেকে ৭ দিনের ছুটি! ফেরার পর যা ঘটল সাজাপ্রাপ্ত বন্দির জীবনে, মর্মান্তিক!
এ বিষয়ে পুলিশ আধিকারিক এসডিপিও দিবাকর দাস। তিনি জানান, "এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা তদন্ত করে জানতে পারি যে হাওড়ার উলুবেরিয়ার একজন চিকিৎসক গোসাবাতে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে প্রচুর টাকা নিয়ে থাকে এবং বিভিন্ন মানুষের ভুল চিকিৎসার মাধ্যমে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে তাঁকে। চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর কোথায় কোথায় ভুয়ো চিকিৎসা করেছেন তিনি? আমরা ওঁর সার্টিফিকেট তদন্ত করব।"
সুমন সাহা