১৮৯৬ সালের ১৯ শে অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি। নিজের সারাটা জীবন দেশের জন্য অতিবাহিত করার পর ১৯৮৫ সালের ২৪ শে জুন তিনি পরলোক গমন করেন। তাঁর স্মৃতিতে ডায়মন্ড হারবারে রয়েছে চারুচন্দ্র ভান্ডারী সরনী।
আরও পড়ুন ঃ এই রাস্তায় যেন দুর্ঘটনা নিত্য সঙ্গী! কয়েক মাসে প্রাণ গেছে ৫ জনের
advertisement
তাঁর প্রতিষ্ঠা করা স্বরাজ ভবন এখনও রয়েছে ডায়মন্ড হারবারের নুনগোলায়। এক সময় খাদি মন্দির সুন্দরবনের গ্রামীন এলাকার অর্থনীতির ভিত্তি হয়ে উঠেছিল। সেখানে তৈরি হত চরকায় কাটা সুতোর বস্ত্র। বর্তমানে সেই চারুচন্দ্র ভান্ডারীর তৈরি সেই খাদি মন্দির আজ আগাছায় ঢেকে গিয়েছে।
তাছাড়াও তিনি যে বাড়িটিতে থাকতেন সেই বাড়িটিরও বেহাল দশা। যেন তেন প্রকারে দাঁড়িয়ে আছে সেটি। সেজন্য খাদি মন্দিরের সংস্কারের আর্জি জানিয়েছেন চারুচন্দ্র ভান্ডারী স্মৃতিরক্ষা কমিটি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাংলায় প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষের মন্ত্রিসভায় চারুচন্দ্র ভান্ডারী প্রথম খাদ্যমন্ত্রী হন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, তাঁর মৃত্যুর পর সংস্কারের অভাবে খাদি মন্দির পুরোপুরি নষ্ট হওয়ার পথে। এ নিয়ে চারুচন্দ্র ভান্ডারী স্মৃতিরক্ষা কমিটির সহ-সম্পাদক সিদ্ধানন্দ পুরকাইত বলেন, চারুবাবু দেশের গৌরব। তাঁর স্মৃতিবিজড়িত খাদি মন্দির আজ ধ্বংসের পথে। আমারা চেষ্টা করছি সেটাকে রক্ষণাবেক্ষণ করার।
নবাব মল্লিক