লাল, সবুজ, গেরুয়া নির্দল সব রঙের প্রার্থীদের কাছেই ওঁদের চাহিদা এখন তুঙ্গে। কিন্তু একটা মানুষ একসঙ্গে আর কত কাজ করবে। তাই আগে থেকে যারা বুক করে রাখেননি সেই সকল প্রার্থীদের এখন হাপিত্যেশ করে অপেক্ষা করতে হচ্ছে এই দেওয়াল লিখন শিল্পীদের জন্য। বলতে গেলে প্রার্থীদের থেকেও এখন ওঁদের ব্যস্ততা বেশি। তিন দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে ‘ডেট’ পাওয়ার জন্য।
advertisement
আরও পড়ুন: মালদহের গ্রামে ৪৪ শতাংশ আসনে পদ্ম প্রতীকে প্রার্থী নেই
আগের থেকে দেওয়াল লিখন শিল্পীর সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। তার ফলে বর্তমানে যে শিল্পীরা কাজ করছেন তাঁদের উপর চাপ বাড়ছে। বহু দেওয়াল সাদা চুনকাম করে পড়ে আছে, কিন্তু শিল্পীর সময়ের অভাবে সেখানে দলের প্রতীক বা প্রার্থীর নাম কিছুই লেখা হয়ে উঠছে না। এদিকে একটা একটা করে দিন চলে যাচ্ছে আর প্রচারের সময় ফুরিয়ে আসছে। ফলে উৎকণ্ঠা বাড়ছে প্রার্থীদের।
এদিকে এই প্রবল চাহিদার জেরে এবার দেওয়াল লিখন শিল্পীদের পারিশ্রমিকও বেড়েছে। দৈনিক একজন শিল্পী হাজার থেকে বারোশো টাকা পারিশ্রমিক নিচ্ছেন। অবশ্য এটাই তাঁদের রোজগারের সময়। শিল্পীর সময়ের অভাবে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে ডানপন্থী দলগুলো। কারণ বামেরা বরাবরই যতটা বেশি সম্ভব নিজেদের দেওয়াল নিজেরাই লিখে নেয়। এবারেও তার অন্যথা হয়নি। বিভিন্ন জায়গায় বামপন্থী কর্মী সমর্থকরাদের পঞ্চায়েতের দেওয়ার লিখতে দেখা যাচ্ছে। সেই সব ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় যথেষ্ট ভাইরালও হচ্ছে।
সুমন সাহা