এরমধ্যে তলমিদেবীর বড় মেয়ে পড়াশোনা করে ভারতীয় ডাকবিভাগের কাজে যোগ দেন। মাকে খুঁজে বার করার বহু চেষ্টা করেন। কিন্তু কোথাও খুঁজে পাননি। এদিকে পথ ভুলে ঘুরতে ঘুরতে কলকাতায় চলে আসেন তলমি হাঁসদা।
আরও পড়ুন: ভোটের দেওয়াল লিখনে চমক পুরুলিয়ায়, দেখুন কী হচ্ছে
এরপর কলকাতা পুলিশের সহযোগিতায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে স্থানান্তরিত হয়ে মিশনারিজ অফ চারিটির কলকাতার হোমে ঠাঁই পান তিনি। পরে তাঁকে আবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরে মিশনারি অফ চ্যারিটির আরেকটি হোমে পাঠানো হয়। এরপর ওয়েস্ট বেঙ্গল রেডিও ক্লাব হ্যাম রেডিওর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তারাই মহিলার ঠিকানা খুঁজে বের করে পৌঁছে দেন পরিবারের কাছে।
advertisement
তলমিদেবীকে আনতে এসে অশ্রুসজল চোখে মেয়ে মীনাদেবী জানান, রেল স্টেশনে অনেক পড়ে থাকা মহিলা পুরুষদের দেখতাম। নিজের মায়ের কথা ভাবতাম। মনে হতো কোনও রেল স্টেশনে হয়তো আমার মা এরকমই পড়ে আছে। চাকরি সুত্রে সবার বাড়িতে খবর পৌঁছে দিই আমি, কিন্তু এই খবর হ্যাম রেডিওর থেকে পেয়েছি। প্রতিবছর এই দিনটিকে আমরা মায়ের জন্মদিন হিসেবে পালন করব আমরা আমরা।
নবাব মল্লিক