কিন্তু তা জেনেও জয়নগর এলাকার দক্ষিণ বারাসাত থেকে কাশিপুর আবার কখনও জীবন মন্ডলের হাট থেকে দক্ষিণ বারাসাত পর্যন্ত প্রায় ১৫০ থেকে ২০০-র ও বেশি মোটর ভ্যান অর্থাৎ ইঞ্জিনচলিত ভ্যান যাতায়াত করে প্রতিদিন। এই ভ্যান সাধারণত এলাকার মানুষেরা তৈরি করে। জমিতে জল দেওয়া হয় যে পাওয়ারটিলার মেশিন। সেই মেশিন বেশ কিছুদিন চলার পর অকেজ হয়ে যায়। সেই মেশিন দিয়ে কোনও রকম ভাবে রিপেয়ারিং করে তৈরি করা হয় এই ভ্যান।
advertisement
আরও পড়ুনঃ মাধ্যমিকের ফর্ম ফিল আপের জন্য অতিরিক্ত অর্থ! বিক্ষোভ সাগরে
আর এই ভ্যানে প্রতিদিন মানুষ তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করে। এই ভ্যানে কোনরকম বীমা বা সরকারি কাগজপত্র থাকেনা। যদি কোনও দুর্ঘটনা ঘটে যায় তার কোন সমাধান নেই এই ভ্যানে। তবে এ বিষয়ে এক ভ্যান ভ্যান চালক তিনি জানান আমরা দেখেছি আমাদের এই ভ্যানে বেশি মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকেরা যাতায়াত করে। তার কারণ অটোতে গেলে যেখানে কুড়ি থেকে পঁচিশ টাকা ভাড়া পড়ে যায়।
আরও পড়ুনঃ ভেঙে পড়েছে মাটির বাড়ি! সন্তান নিয়ে আশ্রয় অন্যের বারান্দায়!
আমরা সেখানে তার থেকে আরও অনেক দূরে গেলেও ১৫ টাকার বেশি ভাড়া আমরা নিই না। আর তার জন্যেই আমাদের যাত্রী বেশি পরিমাণে ওঠে। আমরা জানি এই ভ্যান অবৈধ কিন্তু এটাই আমাদের সংসার চালানোর জন্য কোনও কাজ না পেয়ে এই ভ্যান চালিয়ে আমরা আমাদের রোজগার করে কোনও রকম ভাবে সংসার চালাই। যদি সরকার আমাদের কোনরকম ভাবে একটি ব্যবস্থা করে দেয় তাহলে আমরা আর বেআইনি ভ্যান চালাবো না।
Suman Saha